Civic Volunteer: পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারদের চাকরি নিয়ে টানা টানি। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ এলো
Civic Volunteer Recruitment
রাজ্যে প্রতি বছর বছর প্রচুর সংখ্যক সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ (Civic Volunteer Recruitment) হয়। তাঁদের নির্দিষ্ট কাজের সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। তবে সম্প্রতি আরজিকর ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়ার জড়িত থাকায় তাঁদের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। যদিও রাজ্য সরকার ঘটনাটি নিয়ে ওয়াকিবহাল তাও সিভিকদের ভূমিকা সারা রাজ্যে একাধিক প্রশ্নের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। তবে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে একটি বড়সড় নির্দেশ দিল। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে এবার থেকে সিভিকদের মোতায়েন করা হবে না হাসপাতাল এবং স্কুলে। শুধু তাই নয়, একগুচ্ছ নির্দেশিকা ও দেওয়া হয়েছে।
Supreme Court Orders On Civic Volunteer Recruitment
রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগের পদ্ধতি (Civic Volunteer Recruitment) নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এবার প্রশ্ন তুলে সরাসরি রাজ্য সরকারের কাছে একটি হলফনামা তলব করল সুপ্রিম কোর্ট (SC). এদিন মঙ্গলবার সুপ্রিম আদালতে ছিল আরজি কর মামলার শুনানি। আর এই শুনানিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন আর জি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের তরফে থাকা আইনজীবী। আর এই প্রশ্ন সর্বসমক্ষে ওঠার পর আদালত রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়ে জানায়। এর পাশাপাশি এও বলা হয় যে, বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখবেন তারা।
আদালতের রায়
এদিন শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানিতে দুই পক্ষের কথা শুনছিলেন বিচারকেরা। এদিন নির্যাতিতার বাবা মায়ের আইনজীবী জানান, ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। তিনি পেশাগতভাবে সিভিক পুলিশ হলেও তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই ছিল গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ। তারপরেও কোনো কিছু বিচার বিবেচনা না করে, কিছু খতিয়ে না দেখে তাকে সংশ্লিষ্ট পেশায় অন্ধের মতো নিয়োগ করা হয়েছে। এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের তরফের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের মোটরসাইকেল।
এরপর আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে সম্পূর্ণ থানা পরিচালনা করছেন স্বয়ং সিভিক ভলান্টিয়াররা! আর এইসব শুনে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সরাসরি রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেন, কোন আইনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়েছে? জবাবে রাজ্যের তরফে থাকা আইনজীবী বলেন, সিভিকদের নিয়োগ করা হয়েছে, ২০১১ সালে জারি একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে। এরপর আদালতে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, সেই নির্দেশিকাকেই চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে চলছে মামলা।
এই সকল শুনে প্রধান বিচারপতি সরাসরি নির্দেশ দেন রাজ্য সরকারকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। শুধুমাত্র তাই নয়, এখানে রাজ্য সরকারকে উল্লেখ করতে হবে-
১) রাজ্যে ঠিক কোন বৈধ অধিকার প্রয়োগ করে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে?
২) এই সিভিক ভলান্টিরা নিয়োগের প্রক্রিয়া ঠিক কী?
৩) সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগের যোগ্যতামান কী?
৪) সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগের আগে উক্ত ব্যক্তির কোন কোন জিনিস খতিয়ে দেখা হয়?
আরও পড়ুন, প্রতিমাসে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে 1 লাখ টাকা! কেন্দ্রের নতুন প্রকল্পে আবেদন করুন।
৫) সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কোন কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা হয়?
৬) সিভিকদের দৈনিক/ মাসিক হিসেবে কিভাবে বেতন দেওয়া হয়?
৭) উল্লেখ করতে হবে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিস্তারিত প্রক্রিয়া।
৮. আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্কুল এবং হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর নিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দেখতে হবে, কোন সিভিক ভলেন্টিয়ার অপরাধের তদন্তে তারা কোনওভাবে যুক্ত কি না।
সুতরাং রাজ্যকে দেওয়া নির্দেশাবলী কটোর ভাবে মেনে চলতে হবে। আর এতেই লাখ লাখ সিভিক পুলিশদের চিন্তা বাড়ছে। যদিও রাজ্যের তরফ থেকে এখনই কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আদালত কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটার উপর নজরে রয়েছে রাজ্য প্রশাসন তথা সিভিক ভলান্টিয়ার দের। পরবর্তী আপডেট পেতে বাংলা একাডেমী ফলো করুন।