Price Hike – পুজো মিটলেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম প্রচুর বাড়বে। জানিয়ে দিলো রিজার্ভ ব্যাংক
RBI on Price Hike
একে তো সাধারন মানুষের আয় রোজগার তলানীতে। কাজ, চাকরি, ব্যবসার বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। আর তার উপরে Price Hike বা জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। আর এই পরিস্থিতে একমাত্র কেন্দ্র সরকারই বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রনে আনতে পারে। RBI তথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেতে পারে। আর সারা দেশবাসীকে হতাশ করে সেই রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank of India) ই জানিয়ে দিলো, এই মুহূর্তে জিনিসপত্রের দাম বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আর এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে!
RBI Can not control Food Price Hike
পুজো মিটতেই আরো বাড়বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। কঠিন হবে মধ্যবিত্তের চলা। এমনটাই জানাচ্ছে বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI). উৎসবের মরসুম শেষ হতে না হতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) জানিয়েছেন, খাদ্যপণ্যের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে (Food Price Hike) এবং কবে তা কমবে, সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক শেষে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এসেছে। যদিও বেশ কিছু দিন ধরেই মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে, তবে বর্তমান পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন গভর্নর।
REPO Rate on Infatuation
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রেপো রেট পরিবর্তনের বিষয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন, বিশেষত আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর পরে। তবে আরবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশেই স্থির থাকবে। এর ফলে গাড়ি, বাড়ি এবং অন্যান্য ঋণের উপর সুদের হার যেমন ছিল তেমনই থেকে যাবে, যা সাধারণ মানুষের মাসিক কিস্তির (ইএমআই) বোঝা আরও বাড়িয়ে তুলবে। ইতিমধ্যেই ঋণের উচ্চ সুদের হার এবং খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে, এবং এই পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে চলেছে।
আরও পড়ুন, গ্রীন রেশন কার্ড দিচ্ছে সরকার। প্রতিমাসে 2 বার রেশন পাবেন ও 3 মাসের রেশন একবার তুলতে পারবেন।
Petroleum Oil Price Hike
শক্তিকান্ত দাস আরও উল্লেখ করেছেন যে পশ্চিম এশিয়ায় যু’দ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। এর প্রভাব সরাসরি খাদ্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে পড়বে। তিনি বলেছেন, “খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধি আমাদের অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও খাদ্যশস্য, আনাজপাতির দাম স্থিতিশীল নয়।”
বিশেষত পেঁয়াজ, আলু, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সবজি এবং রান্নার তেলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। আর উৎসবের পরই এই দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ। যার জেরে খেটে খাওয়া মানুষেরা কিভাবে দিন যাপন করবেন, সেই বিষয়ে উদ্বেগ আরো বাড়ছে। এদিকে দ্রব্য মুল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের রোজগার ও কমছে।
এমন অবস্থায় মধ্যবিত্তদের উপর আরও চাপ পড়বে। বেকারত্বের হার (Unemployment Rate), মূল্যস্ফীতি এবং ঋণের উচ্চ সুদের হার (High Interest rate) মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। অনেকেই তাদের দৈনন্দিন খরচ কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং এই পরিস্থিতিতে তা আরও বাড়বে। খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে (Food Price Hike) যেখানে অনেকেরই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, সেখানে ঋণের কিস্তি (Loan EMI) সময়মতো শোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন অসংখ্য মানুষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে যু’দ্ধ এবং তেলের দামের অস্থিরতা যদি চলতে থাকে, তবে আগামী কয়েক মাসে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব আরও গভীর হতে পারে। এদিকে কেন্দ্র সরকার ২০২৬ এর মধ্যে বিশ্বের ৩য় অর্থনৈতিক দেশ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমতবস্থায় সেটা কতটা বাস্তবে সম্ভব, প্রশ্ন থেকে যায়। যদিও আগামী বছর একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে কে সামনে রেখে সাময়িক ভাবে গ্যাসের ভর্তুকি, পেট্রোলের দাম কমানোর চমক আসতে পারে। তবে সেটা যে দীর্ঘমেয়াদী নয়, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।