Ayushman Bharat Card: পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক মাত্র 24 ঘন্টায় পাবেন আয়ুষ্মান ভারত কার্ড। কিভাবে করবেন ও কী কী সুবিধা পাবেন জেনে নিন
PMJAY Ayushman Bharat Card
দেশের সরকার সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জনসাধারণের স্বাস্থ্য রক্ষায় তেমনি উল্লেখযোগ্য হলো আয়ুষ্মান ভারত কার্ড (Ayushman Bharat Card). বিগত কয়েক বছর ধরে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড দ্বারা উপকৃত হয়েছেন ভারতবর্ষের বহু জনতা। তবে অনেকেই এখনো পর্যন্ত জানেন না কিভাবে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড বানানো যায়, কারা এই কার্ড বানানোর জন্য যোগ্য, এই কার্ড থাকলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে এই সকল বিষয়ে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করব। আশা করা যাক আপনারা উপকৃত হবেন। পুরোটা জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন আপনাদের পড়ে নিতে হবে।
PMJAY Ayushman Bharat Card
ভারতবর্ষের অনেক মানুষই স্বাস্থ্য বীমার করার জন্য বেশি প্রিমিয়াম দিতে পারেন না। আর তাই এরকম পরিস্থিতিতে, দেশের সাধারণ মানুষ যাতে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার আরম্ভ করেছে PM জন আরোগ্য যোজনা। প্রধানমন্ত্রীর এই স্কিমে সুবিধাভোগীরা সারা দেশে মোট 5 লাখ টাকার ফ্রি চিকিৎসা পেতে পারেন। আরো একটি বিষয় যেটি উল্লেখযোগ্য এই স্কিমের সুবিধা আপনি পেতে পারেন সরকারি এবং বেসরকারি উভয় হাসপাতালেই। জেনে রাখুন PM জন আরোগ্য যোজনার (PM-JAY) আওতাধীন সুবিধাভোগীরা আয়ুষ্মান কার্ড পান। এই কার্ডের মাধ্যমে তিনি খুব সহজেই নিজের বা পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হল, আপনি কিভাবে এই কার্ড বানাবেন আপনি কিভাবে এই কার্ডের সুবিধা পাবেন, এবং এই কার্ড বানানোর জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। আসলে,আপনি ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর যদি আবেদনে কোনও ত্রুটি না থাকে তবে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আয়ুষ্মান কার্ড অনুমোদন করা হবে। অর্থাৎ, আবেদনকারী মাত্র এক দিনের মধ্যে এই কার্ড পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন, ব্যবসা করতে টাকা দিচ্ছে মোদি সরকার। এইভাবে আবেদন করুন।
Ayushman Bharat Card Benefits
১) সাধারণত, ভারত সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্ল্যান বর্তমানে সাধারণ ওষুধ, সার্জারি, ক্যান্সার এবং কার্ডিওলজির মতো রোগের সর্বমোট 27টি চিকিৎসা সহ মোট 1,949টি চিকিৎসা পদ্ধতিকে কভার করে। ২) এছাড়াও, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিষেবা, ওষুধ, ডায়াগনস্টিক সুবিধা (ভর্তি হওয়ার তিন দিন আগে), হাসপাতাল ছাড়ার পর ১৫ দিনের ওষুধ, খাবার এবং বাসস্থান পরিষেবাও সুবিধাভোগীদের প্রদান করা হয় একেবারে ফ্রিতে। ৩) এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তি আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো কিছু মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন, তাহলেও প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। ৪) আরো একটি বিষয় জেনে নেওয়া জরুরী, এটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুষ্মান কার্ড পাওয়ার পরে ভারতবর্ষে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি আয়ুষ্মান ভারত তালিকাভুক্ত হাসপাতালে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যের চিকিৎসা পেয়ে যাবেন।
Ayushman Bharat Card Application
আয়ুষ্মান ভারত কার্ড। কিভাবে করবেন?
এখন প্রশ্ন হল, আপনি কিভাবে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড এর জন্য আবেদন জমা করবেন। আসুন সেই বিষয়ে জানা যাক। স্টেপ বাই স্টেপ উল্লেখ করা হলো পদ্ধতি।
১) প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
২) এর পরের ধাপে আপনাকে স্ক্রিনের উপরে প্রদর্শিত ‘Am I Eligible’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৩) এরপর স্ক্রিনে দেখতে পাবেন একটি নতুন পেজ খুলছে। যেখানে আপনাকে মোবাইল নম্বর যাচাই করতে হবে ও ক্যাপচাটি পূরণ করতে হবে।
৪) এখন আপনাকে লগ ইন বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে তারপর ‘Search for beneficiary’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৫) এরপর আপনাকে আপনি আপনার রাজ্য বেছে নিন এবং স্কিমে PMJAY লিখুন।
৬) এখন আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে। রেশন কার্ডের জন্য ফ্যামিলি আইডি, আধার কার্ড বা লোকেশন গ্রামীণ বা লোকেশন আরবান ইত্যাদি তথ্য পূরণ করুন।
৭) এখন জেনে নিন, আপনি যদি আধার কার্ডের তথ্য বা রেশন কার্ডের তথ্য দেন, তাহলে আপনার পরিবারের বিবরণ স্ক্রিনে দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন, এবার থেকে বাড়িতে বসেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মিলবে চিকিৎসকের পরামর্শ।
৮) এরপরের ধাপে আপনাকে সেই ব্যক্তির নাম নির্বাচন করতে হবে যার জন্য আপনি আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করতে চান এবং তাঁর বিবরণ আপনাকে যাচাই করতে হবে।
৯) এখন নির্বাচন করুন আধার বিকল্পটি এবং OTP এর মাধ্যমে যাচাই করে নিন।
১০) OTP যাচাই করার পরে আপনি দেখতে পাবেন স্ক্রিনে প্রমাণীকরণ পেজ খুলবে। এখানে আপনাকে আবেদন জমা দিতে হবে আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য।
১১) আবেদন জমা দেওয়ার পরে, নতুন পেজে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে ই-কেওয়াইসি বিকল্পটি।
১২) ই-কেওয়াইসি করার জন্য, আপনি মোবাইল নম্বরে প্রাপ্ত আধার নম্বর ও ওটিপি উল্লেখ করুন।
১৩) ই-কেওয়াইসি করার পরে, আপনাকে জমা দিতে হবে আপনার পাসপোর্ট ছবি।
১৪) এরপর আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলি দিতে হবে। যেমন আপনার মোবাইল নম্বর, সম্পর্ক, পিন কোড, রাজ্য, জেলা, গ্রামীণ বা শহর, গ্রাম ইত্যাদি।
১৫) আর এইভাবে আপনি আয়ুষ্মান কার্ড বানানোর জন্য আপনার আবেদন সাবমিট করবেন।