Ration Card: পুজোর মধ্যেই 3 মাস রেশন বন্ধ! বায়োমেট্রিক দিয়েও রেশন অমিল। গরীব মানুষ খাবে কি?
Ration Distribution Scam
এখনও বহু মানুষের দিনের অন্নসংস্থানের জন্য রেশন কার্ড (Ration Card) ও প্রতিমাসের বিনামুল্যে রেশন সামগ্রী বড় ভুমিকা নিরবাহ করে থাকে। যার জেরে, অতিমারীর সময় যখন সাধারন মানুষ কাজ হারিয়ে গৃহবন্দী, ঠিক তখনই রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যৌথ উদ্যোগে ফ্রি রেশন ব্যাবস্থা চালু করে। এবার কেন্দ্র সরকার বেশি দেয়, নাকি রাজ্য সরকার বেশি দিয়ে থাকে, সে কথা মূল বিষয় নয়, সাধারন মানুষের কাছে। এই রেশন নিয়ে সাধারন মানুষ একটু ভালো ভাবে বাঁচতে পারে, এটাই দেখার বিষয়। আর সেই রেশনে যদি ছেদ পড়ে, সে যে কারনেই হোক না কেন, সেই ক্ষতি কিন্তু গরীব মানুষেরই হয়ে থাকে। আর তেমনি রাজ্যের একাধিক জায়গায় ৩ মাস ধরে রেশন পাচ্ছে না সাধারন মানুষ।
Free Ration Distribution System in Ration Card
রাজ্য সরকারের ২ টাকা কেজি দরে চাল, কেন্দ্রের ২০২৮ সাল পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন (Free Ration), এই সবই মুখে হাসি ফুটিয়েছে, সাধারন মানুষের। কিন্তু রাজ্য বা কেন্দ্র যতই প্রকল্প চালু করুক না কেন, সেই বন্টাওন ব্যাবস্থায় কিছু সংখ্যক রেশন ডিলারের জন্য বদনাম হয় সরকারের। আর সেই ঘটনাই ঘটেছে এই পুজোর সময়ে।
বাংলায় ফের রেশন দুর্নীতি
দিওয়ালির মাসেই রেশন দুর্নীতি তথা রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি। রেশন দোকানে গিয়ে Ration Card দেখিয়ে বায়োমেট্রিক দিচ্ছেন উপভোক্তারা, তবুও মিলছে না প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী। সম্প্রতি এমনই ঘটনার নজির ধরা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে, যাতে কার্যত মাথায় হাত পড়ার জোগাড় হয়েছে গরিব মানুষের। এর আগেও রেশন নিয়ে নানা ধরনের কারচুপির অভিযোগ উঠেছে বহুবার। তবে উৎসবের আবহে এই ধরনের দুর্নীতি রাজ্যের সাধারণ মানুষকে গভীর চিন্তায় ফেলেছে।
আরও পড়ুন, দীপাবলিতে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা একাউন্টে টাকা ঢুকবে! বাংলার জনতার মুখে হাসি ফুটল
দত্তপুকুরের ময়না গোদি এলাকায় অভিযোগ উঠেছে, গত তিন মাস ধরে বহু উপভোক্তা রেশন পাচ্ছেন না। বায়োমেট্রিক আঙুলের ছাপ নেওয়ার পরেও রেশন না মেলায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তাদের একমাত্র রেশন ডিলার সুমন ভদ্রের দোকানে খাদ্যসামগ্রীর ঘাটতি লেগেই থাকে। তার ওপর, প্রায় ২৫ হাজার মানুষের রেশন ব্যবস্থা সামলানোর দায়িত্ব এককভাবে তার হাতে থাকায় পরিস্থিতি আরও শোচনীয়।
শাহানুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী জানান, দীর্ঘদিন ধরে কোনো রেশন সরবরাহ না হওয়ায় মানুষ দিশাহারা হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েক মাসে সরকারি ক্যাম্প বা অন্যান্য বিকল্প রেশন পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে। ডিলারের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে, স্থানীয়রা জানতে পারেন যে প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে দোকানে রেশন সামগ্রী আসে না।
আরও পড়ুন, কালি পুজো উপলক্ষ্যে স্পেসাল রেশন দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সাথে পাবেন ১০০০ টাকা।
ডিলারের কাছে রেশন সামগ্রী এসেছে খবর পেয়েই গতকাল উত্তেজিত ভিড় দোকানে জড়ো হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। বারাসাত ব্লক – ১ এর সভাপতি হালিমা বিবি জানান, ডিলার সুমন ভদ্র মানসিক সমস্যার মধ্যে রয়েছেন এবং তার জন্য রেশন বিতরণে (Ration distribution) সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সমস্যা যেটাই থাকুক, সাধারন মানুষ যে রেশন না পাওয়ায় চরম অর্থ কষ্টে রয়েছেন, সেই দিকটাও দেখা উচিত। সুতরাং সরকার যতই প্রকল্প চালু করুক না কেন, সাধারন মানুষ ও বুথ স্থরের পরিষেবা যারা দিয়ে থাকেন, তারা ঠিক না হলে, আদতে কষ্ট হবে, সেই সাধারন মানুষেরই।