বড়ো বড়ো কোম্পানির মালিকদের কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না কেন, জেনে নিন।

আয় বাড়লে একটি নির্দিষ্ট সীমার পর প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককেই সরকারের তরফে নির্ধারিত ট্যাক্স জমা করতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানেন না বেশ কিছু ছোট ছোট কৌশল অনুসরণ করলেই নির্ধারিত ট্যাক্স জমা দেওয়ার বদলে আপনি টাকা বাঁচাতে পারবেন।

কিভাবে আপনি ট্যাক্সের টাকা বাঁচাতে পারবেন?

সমগ্র ভারত তথা বিশ্বের অধিকাংশ বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের প্রত্যেক মাসে যত টাকার বেতন দেওয়া হয়ে থাকে তা সাধারণ মানুষের সম্পূর্ণ বছরের বেতনের সমান। ফলত প্রতিটি সাধারণ মানুষের মনে অবশ্যই এই ভাবনা এসে থাকে যে, এই সমস্ত নামজাদা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর সংক্রান্ত নিয়মের কারণে আয়কর হিসেবে যথেষ্ট টাকা প্রদান করতে হয়। কিন্তু সত্যিই কি তা হয়ে থাকে? আজ্ঞে না, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে এমন কিছু বিশেষ ছোট ছোট ট্রিকসের ব্যাপারে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত ট্রিকসগুলি অনুসরণ করলে আপনিও খুব সহজেই ট্যাক্সের টাকা বাঁচাতে পারবেন। আর এই সমস্ত রিপোর্টের দাবি অনুসারে অধিকাংশ নামজাদা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এই সমস্ত ট্রিকস অনুসরণ করেই ইনকাম ট্যাক্স থেকে নিজেদের উপার্জনের অর্থকে বাঁচিয়ে থাকেন।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নামজাদা কোম্পানির বিশেষ বিশেষ পদে কর্মরত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বেতন যথেষ্ট বেশি হলেও তারা বেতনের নামে ন্যূনতম অর্থ নিয়ে থাকেন। তার বদলে তারা তাদের বেতনের সম্পূর্ণ অর্থটাই Stocks রূপে নিয়ে থাকেন। যেহেতু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুসারে, যথেষ্ট বেতন পেলে ৩০ শতাংশ ইনকাম ট্যাক্স জমা দিতে হয়, তাই ইনকাম ট্যাক্সের হাত থেকে নিজেদের কষ্টার্জিত উপার্জনকে বাঁচানোর জন্য এই বিশেষ নিয়ম নীতি অনুসরণ করে থাকেন নামজাদা কোম্পানির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা, এমনটাই দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যে। যেহেতু কারো নামে স্টক স্ট্রান্সফার করা হলে বা কেউ বেতনের পরিবর্তে কোম্পানির স্টক নিলে তাকে কোনোরূপ ট্যাক্স দিতে হয় না, তাই এই নিয়ম নীতি অনুসরণ করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে অর্থনৈতিক মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের তরফে।

আরও পড়ুন:- আবেদন করুন গীতাঞ্জলি প্রকল্পে এবং পেয়ে যান সর্বাধিক ৭৫,০০০ টাকার অনুদান।

এই সমস্ত রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিভিন্ন নামজাদা কোম্পানিগুলিতে কর্মরত ব্যক্তিরা তাদের লাইফ স্টাইল বজায় রাখার জন্য বেতনের বদলে নেওয়া শেয়ারগুলির এগেইনস্টে লোন নিয়ে থাকেন। এর ফলে একদিকে যেমন তাদের ট্যাক্স বাঁচানো সম্ভব হয়, ঠিক তেমনভাবেই এই সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের লাইফস্টাইল বজায় থাকে। এমনকি কখনো অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হলে এই সমস্ত কোম্পানির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা কিছু শেয়ার বিক্রি করে থাকেন। যদিও কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রেও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুসারে ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু শেয়ার বিক্রি করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ইনকাম ট্যাক্সের তুলনায় যথেষ্ট কম, ফলত বেশিরভাগ মানুষই শেয়ার বিক্রি করে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতেই বেশি পছন্দ করেন।

এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স হিসেবে মোট সম্পত্তির মাত্র ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয় কিন্তু ইনকাম ট্যাক্স হিসেবে মোট আয়ের উপর ৩০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয়, যা ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। সুতরাং এই সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ইনকাম ট্যাক্সের বদলে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স প্রদান করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে। বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট দাবি করা হয়েছে যে, বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির মালিক এবং উচ্চপদস্থ কর্মীরা এভাবেই নিজেদের উপার্জনের টাকা থেকে ট্যাক্স প্রদানের বদলে টাকা বাঁচিয়ে থাকেন। সুতরাং আপনিও যদি যথেষ্ট বেতন পেয়ে থাকেন এবং সেই বেতনের বিনিময়ে প্রচুর টাকা ইনকাম ট্যাক্স পে করে থাকেন তবে ইনকাম ট্যাক্স পে করার পরিবর্তে উপরোক্ত পদ্ধতিতে ইনকাম ট্যাক্স বাঁচাতে পারেন এবং নিজের উঁচু দরের লাইফস্টাইলও মেইনটেইন করতে পারবেন।

Related Articles

Back to top button