School Holiday: এবার থেকে ৬৫ দিনের বদলে ৯০ দিন ছুটি থাকবে রাজ্যের স্কুলগুলি।
প্রত্যেক বছরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উক্ত শিক্ষাবর্ষে কোন কোন দিন, কি কি কারণে ছুটি থাকতে চলেছে (School Holiday) তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তবে বিগত কয়েক বছরের নজির অনুসারে দেখা গিয়েছে যে, অতিরিক্ত গরমের কারণে নির্দিষ্ট তারিখের বাইরেও গ্রীষ্মের ছুটি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফে যেসমস্ত ছুটিগুলি প্রদান করা হয়ে থাকে তাকে ঘিরেও বেশ কতোগুলি দাবী তোলা হয়েছিল। আর এই সমস্ত দাবি এবং বিগত কয়েক বছরের গ্রীষ্মের ছুটির ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তা সংক্রান্ত তথ্যকে সামনে রেখে অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন -এর তরফে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দপ্তরে এক বিশেষ আবেদন জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদন পত্রে ২০২৪ সালের ছুটির দিন সম্পর্কিত কতোগুলি বিশেষ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই আবেদন পত্রটি নিয়ে রাজ্যের জনসাধারণ থেকে শুরু করে শিক্ষা মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মধ্যেও বেশ আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই আবেদন পত্রে কোন কোন বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে তা নিয়েও রাজ্যের শিক্ষার্থী, শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মধ্যে বিশেষ আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ব্রাত্য বসু এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে যে আবেদন পত্রটি পাঠানো হয়েছে তাতে ছুটি (School Holiday) সংক্রান্ত কোন কোন বিশেষ বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে:-
১. আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিগত বছরগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ছুটির সংখ্যা ৬৫ দিন হলেও অতিরিক্ত গরমের কারণে ছুটির দিনসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে, এর ফলে বিগত বছরগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। পরবর্তীতে যাতে এই একই সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ছুটির দিন সংখ্যা ৬৫ থেকে বাড়ি ৯০ দিন করার এবং এ সংক্রান্ত একটি অফিসিয়াল নোটিফিকেশন প্রকাশ করার আবেদন জানানো হয়েছে।
২. এর পাশাপাশি এই আবেদনপত্রে শিক্ষামন্ত্রী এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উদ্দেশ্যে আরও জানানো হয়েছে যে, প্রত্যেক বছর স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন -এর মতো বিশেষ দিবসগুলিকে ছুটি অথচ পালনীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যার ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে এই সমস্যা এড়াতে এই দিনগুলিকে পালনীয় হিসেবে ঘোষণা করার দাবী জানানো হয়েছে এই আবেদনপত্রে।
এবারে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় মিলবে ডবল টাকা, কারা পাবেন জেনে নিন।
৩. এক্ষেত্রে এই আবেদনপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, DI, SI, ADI সহ শিক্ষা দপ্তরের সমস্ত ধরনের অফিসগুলিতে শনিবারে ছুটি থাকে, কিন্তু রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলিতে শনিবারে অর্ধদিবস ছুটি থাকে। এর বিষয়টিকে নজরে রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বছরের প্রতিটি শনিবারে ছুটি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন -এর তরফে।
৪. উক্ত আবেদনপত্র উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিক্ষার অধিকার আইন বা রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট অনুসারে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে অন্ততপক্ষে ১০০০ ঘন্টার ক্লাস করা আবশ্যক। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্ত উৎসব উপলক্ষ্যে ছুটি দেওয়ার পরেও অতিরিক্ত ৩০০ ঘন্টায় ক্লাস করা হয় রাজ্যের স্কুলগুলিতে। আর তাতেই এই আবেদন পত্রের মাধ্যমে এবিষয়ে আলোচনা করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি এই আবেদনপত্রের মারফত আরও দাবি জানানো হয়েছে যে, আগামী দিনে বিচার বিবেচনার মাধ্যমে যাতে স্কুলের সময় ০৪:৩০ -এর বদলে ০৪:০০ করা হয়। মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলো এবং মানসিক বিকাশের সুযোগ বৃদ্ধির জন্যই এইরুপ দাবি জানানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
সংগঠনের তরফে এই সমস্ত দাবিগুলি উল্লেখ করার পাশাপাশি আরও আবেদন জানানো হয়েছে যে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা প্রকাশের পূর্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষামন্ত্রী যেন এই সমস্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে বিবেচনা করে দেখেন। তবে আগামী দিনে সংগঠনের দাবি অনুসারে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে এবং ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ঠিক কেমন হতে চলেছে তা জানতে রীতিমতো উৎসুক হয়ে রয়েছেন রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ জনগণ।