Bangla Shasya Bima: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া শুরু হলো। এই ফর্মটি জমা করলেই পাবেন
Bangla Shasya Bima for Farmers
দীপাবলির আগে রাজ্যের কৃষকদের জন্য (Farmers) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশাল উপহার ঘোষণা করেছেন। Bangla Shasya Bima তথা বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের জন্য মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ Crop Insurance Claim এর মাধ্যমে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কেউ আবেদন করে এই সুবিধা পেতে পারেন, শুধু প্রয়োজন নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকা। কাদের দেওয়া হবে টাকা, কিভাবে করবেন আবেদন, বিস্তারিত জেনে নিন।
Bangla Shasya Bima Crop Insurance
গত সপ্তাহে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে ফসল ও ঘর বাড়ির। ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণ ইতিমধ্যেই হিসাব করা হচ্ছে। আর এদিকে ফসলের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কৃষকদের এই ক্ষতিপূরণ Bangla Shasya Bima এর মাধ্যমে দেওয়া হবে। এতে একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের আর্থিক চাপ কমবে, অন্যদিকে Insurance Claim ও করা যাবে।
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প
যে কোনো রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হলে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ যোগানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালু করেছে বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প। সদ্য ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন রাজ্যের কৃষকরা। সেইসব কৃষকদেরই ব্যাংক একাউন্টে এবার শস্য বিমার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মাঠ পর্যায়ে সার্ভে করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে দ্রুত টাকা প্রদান করা যায়। সেই কাজ সম্পন্ন হলেই শুরু হবে আবেদন প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন, কালীপুজোয় সবাইকে টাকা দিচ্ছে, ব্যাংক একাউন্ট থাকলে আবেদন করুন।
আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা
১. যেসব কৃষক ২০২৪-এর খরিফ মরশুমে ধান বা ভুট্টার চাষ করেছেন,
২. যারা প্রকল্পের আওতাভুক্ত অঞ্চলের বাসিন্দা, বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি বা ভূমিধসে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, সেইসব কৃষকরা বিশেষভাবে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন?
১) রোপণ ব্যর্থতা: যদি ফসলের ৫০% এর বেশি রোপণ ব্যর্থ হয়, কৃষকরা বীমার ২৫% ক্ষতিপূরণ পাবেন।
২) প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে: প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৫০% বা তার বেশি ফসল ক্ষতি হলে বীমার ৫০% ক্ষতিপূরণ পাবেন।
৩. স্থানীয় বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ: শিলাবৃষ্টি বা ভূমিধসে ক্ষতি হলে, কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
৫. কাটা ফসল ঝুঁকি: ফসল কাটার পর যদি ঘূর্ণিঝড় বা অকাল বর্ষণে ফসলের ক্ষতি হয়, তবে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র
এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বা কৃষি অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। এছাড়াও পরবর্তীতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হলে নিকটবর্তী ক্যাম্পে গিয়েও আবেদন জমা করতে পারেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন, নারী পুরুষ উভয়কে 6000 টাকা দিচ্ছে মোদী সরকার। এই প্রকল্পে আজই আবেদন করুন
Bangla Shasya Bima Form
বাংলা শস্য বিমা ফর্ম ফিলাপ করে এবং আবেদনপত্রের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জমা দিতে হবে, যেমন:
১. ভোটার কার্ড
২. আধার কার্ড
৩. ব্যাংক পাসবই
৪. জমির কাগজপত্র
৫. ফসল রোপণের শংসাপত্র
আবেদন শেষ তারিখ এবং বীমা খরচ
ধানের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২৪ নির্ধারিত হয়েছে। প্রকল্পে কৃষকদের কোনো প্রিমিয়াম দিতে হবে না; পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমস্ত খরচ বহন করবে।
সুতরাং যেসমস্ত কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে, তারা শস্য বিমা প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্টে টাকা পেয়ে যাবেন। এবং যারা নতুন আবেদন করতে চান, তারা ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিন। আরো এই ধরনের তথ্য পেতে বাংলা একাডেমী ফলো করুন।