Oasis Scholarship: ওয়েসিস স্কলারশিপে আবেদন করতে গেলে মানতে হবে এই নিয়মগুলি, কি কি নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে জেনে নিন।

সমগ্র রাজ্যের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকরী স্কলারশিপগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ হলো ওয়েসিস স্কলারশিপ (Oasis Scholarship)। আর বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফে এই ওয়েসিস স্কলারশিপকে কেন্দ্র করে এক বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যার জেরে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ওয়েসিস স্কলারশিপ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওয়েসিস স্কলারশিপ -এর কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ওয়েসিস স্কলারশিপের অধীনে যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করবেন তাদের জন্য এক বিশেষ নির্দেশিকা মারফত কতগুলি নতুন নিয়মাবলী কার্যকর করেছে রাজ্য সরকার। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কি বলা হয়েছে ওয়েসিস স্কলারশিপের কর্তৃপক্ষের তরফে কার্যকরী এই নতুন নিয়মাবলীতে:-

১. ওয়েসিস স্কলারশিপের কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা এই নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে রেজিস্ট্রেশনের সময় আবেদন পত্রের নির্দিষ্ট স্থানে নিজের জাতি শংসাপত্রের নম্বরটি লিখতে হবে।

২. এর পাশাপাশি এই নির্দেশিকায় আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, আবেদনপত্রের নির্দিষ্ট স্থানে আধার নম্বর, জেন্ডার এবং জন্ম তারিখ লিখতে হবে। এমনিতে এই নির্দেশিতায় আরো বলা হয়েছে যে, ছাত্র-ছাত্রীদের আধার কার্ড এবং জাতি শংসাপত্রের নাম একই হতে হবে।

৩. পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আবেদনের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের সাবধানে নিজস্ব কোর্স এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নির্বাচন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনোরূপ অমিল থাকলে ওয়েসিস স্কলারশিপের অধীনে অনুদান পাওয়া যাবে না এমনটাই জানানো হয়েছে এই বিশেষ নির্দেশিকার মাধ্যমে। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে কোনোরূপ ভুল তথ্য দিয়ে ওয়েসিস স্কলারশিপের অনুদান নেওয়া হলে তা স্কলারশিপের কর্তৃপক্ষের তরফে পুনরুদ্ধার করা হবে, এমনকী মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্কলারশিপের টাকা নেওয়া হলে তা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে ওয়েসিস স্কলারশিপের তরফে।

৪. ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরও জানানো হয়েছে যে, ছাত্র-ছাত্রীদের এমন একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হবে যেটি ছাত্র-ছাত্রী কিংবা অভিভাবকের অধিকারে রয়েছে। এমনকী ছাত্র কিংবা ছাত্রীর কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবককে এই মোবাইল নম্বরটি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫. এক্ষেত্রে আরো জানানো হয়েছে যে, একজন ছাত্র কিংবা ছাত্রী স্কলারশিপের অনুদানের জন্য কেবলমাত্র একবারই আবেদন জানাতে পারবেন। একাধিকবার স্কলারশিপের জন্য অনুদান জানালে আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে ওয়েসিস স্কলারশিপের কর্তৃপক্ষের তরফে।

৬. স্কলারশিপ -এর অধীনে আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক থাকতে হবে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিবিটি সক্রিয় হতে হবে।

৭. মূলত ওয়েসিস স্কলারশিপের আওতায় ছাত্র-ছাত্রীদের যে নির্দিষ্ট টাকার অনুদান দেওয়া হবে তা আধার সিডেড ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই দেওয়া হবে।

৮. বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ছাত্র অথবা ছাত্রীর যে নাম রয়েছে তার সঙ্গে আধার কার্ডে থাকা নাম মিলতে হবে। যদি তা না হয় তবে আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীকে নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওয়েসিস স্কলারশিপ -এর তরফে প্রকাশিত এই নির্দেশিকায়।

তবে এখানেই শেষ নয়, এই নির্দেশিকা ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পর্কেও বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়েসিস স্কলারশিপ এর তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো:-

(১) আবেদনকারীর পরিবারের বাৎসরিক আয়ের শংসাপত্র
(২) জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র (আধার থেকে অনলাইন যাচাই করা হবে)
(৩) জাতিগত শংসাপত্রের অনুলিপি (পোর্টাল থেকে অনলাইন যাচাই করা হবে)
(৪) শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মার্কশিটের অনুলিপি

এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, এই নথিপত্রগুলি যাচাই করণের জন্য আবেদনপত্রের হার্ডকপি সহকারে ব্লক অফিস/সাব-ডিভিশন অফিস/কলকাতার অফিসে জমা করতে হবে।

Related Articles

Back to top button