Krishak Bhata Scheme – পুজোর সময় 1000 টাকা করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ফর্ম পূরণ করলেই টাকা পাবেন

Krishak Bhata Form

শুরু হলো বাঙ্গালীর প্রধান উৎসব। আর দুর্গা পুজোর মধ্যেই নতুন সরকারি প্রকল্প তথা West Bengal Krishak Bhata Government Scheme নিয়ে বড় খবর। আবেদন করলেই একাউন্টে ঢুকবে ১০০০ টাকা করে। কারা এই প্রকল্পে আবেদন করবেন? এই প্রকল্পের ফর্ম কোথায় পাবেন? কি কি জমা দিতে হবে, আবেদন করার আগে বিস্তারিত জেনে নিন।

West Bengal Government Scheme

পুজোর আগে এবার রাজ্যের কৃষকদেরও ১০০০ টাকা করে ভাতা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন প্রকল্পে আবেদন করলেই সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন সকলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের গরিব দুঃখী মানুষের সহায়তায় অনেক ধরনের ভাতা চালু করেছেন। এরকমই একটি নতুন ভাতা চালু হলো। যার আওতায় প্রতি মাসে ১০০০ টাকা প্রদান করে রাজ্য। এই টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কি যোগ্যতা লাগে টাকা পেতে? প্রকল্পের নাম কি? এক নজরে দেখে নিন।

Krishak Bhata Scheme details

কৃষক ভাতা প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের অসহায় কৃষক বন্ধু এবং বয়স্ক কৃষকদের আর্থিক সমর্থন প্রদানের জন্য চালু করেন কৃষক-ভাতা প্রকল্প। যেসব কৃষক আর্থিকভাবে দুর্বল এবং বয়সের কারণে আর কৃষিকাজ করতে পারেন না, তাদের জন্য এই প্রকল্প বিশেষভাবে উপযোগী।

কৃষক ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা কি?

এই ভাতার জন্য যোগ্য হতে হলে কৃষকদের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
১. সাধারণ কৃষকদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ৬০ বছর হতে হবে, তবে তপশিলি জাতি বা উপজাতির কৃষকরা ৫৫ বছর বয়সেও এই ভাতা পেতে আবেদন করতে পারেন।
২. এছাড়া, আবেদনকারীদের পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ১০ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে এবং তাদের নিজের নামে এক একর বা তার কম জমি থাকতে হবে।
৩. যারা বর্গাকার, তাদের জমির পরিমাণ দুই একরের নিচে হতে হবে।
৪. তবে, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের অন্য কোনও ভাতা পাওয়া গেলে এই কৃষক ভাতা প্রযোজ্য হবে না।

আরও পড়ুন, পুজো উপলক্ষ্যে রেশনে দিচ্ছে পুজোর উপহার। চাল গমের সাথে নতুন জিনিস পাবেন। কতদিন থাকবে এই সুবিধা

Krishak Bhata Form Fillup

কৃষক ভাতা ফর্ম আবেদন প্রক্রিয়া

কৃষক ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্ম বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে স্থানীয় ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিস, মহাকুমা অফিস, বা জেলা কৃষি অধিকর্তার অফিস থেকে। এছাড়াও, “মাটির কথা” ওয়েবসাইট থেকেও এই ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে। আবেদন ফর্ম পূরণের পরে তার সঙ্গে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস একসঙ্গে করে স্থানীয় অফিসে জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

১. আবেদনের সময় যে সমস্ত ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে, তা হলো:
২. বয়সের প্রমাণপত্র (জন্ম সনদ বা ভোটার কার্ড)
৩. জমির মালিকানার প্রমাণপত্র
৪. স্থানীয় প্রধানের শংসাপত্র
৫. জাতি প্রমাণপত্র (তপশিলি জাতি বা উপজাতির ক্ষেত্রে)
৬. যদি আবেদনকারী শারীরিকভাবে অক্ষম হন, তাহলে তার অক্ষমতার প্রমাণপত্র

উপরোক্ত নির্দেশাবলী ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে আবেদন করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট সময় পর আপনার আবেদন গৃহীত হলে অনলাইনে জানতে পারবেন। মোবাইল এ ফোন বা মেসেজ করে জানানো হবে। এই বিষয়ে আরো তথ্য পেতে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন। অতবা আমাদের প্রকল্প পেজ এ এই প্রকল্পের বিভিন্ন খবর ও সরকারি সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন। নিয়মিত খবর পেতে বাংলা একাডেমী ফলো করুন।

Related Articles

Back to top button