Whatsapp Group করতে হলে এবার থেকে 4200 টাকা দিতে হবে। কঠোর নিয়ম চালু হয়ে গেল
Whatsapp Group Lisence Fees
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে Whatsapp Group এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক আলাপচারিতা, এমনকি বড় বড় আয়োজনের পরিকল্পনাও অনেকে WhatsApp গ্রুপের মাধ্যমে করে থাকেন। তবে, সম্প্রতি সরকার WhatsApp Group Admin দের জন্য নতুন একটি আইন চালু করেছে, যা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। এখন থেকে যেকোনো WhatsApp Social Media গ্রুপ পরিচালনা করতে চাইলে, অ্যাডমিনদের টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির কাছ থেকে একটি লাইসেন্স নিতে হবে। এই লাইসেন্সের জন্য খরচ হবে প্রায় ৪২০০ টাকা যা প্রায় ৫০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য।
Whatsapp Group Lisence Fees for Admin
আইনটির পেছনের কারণ ও সরকারী যুক্তি
জিম্বাবুয়ে সরকারের দাবি, নতুন এই আইন মূলত “Social Media তে ভুল তথ্য ছড়ানো রোধ” ও “জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা” নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী তাতেন্দা মাভেতেরা বলেছেন, “লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভুয়ো তথ্যের উৎস সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এতে গ্রুপ অ্যাডমিনদের মাধ্যমে যেকোনো তথ্যের উৎস পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে, যা মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে সহায়ক হবে।” সরকার আশা করছে, এ উদ্যোগে দেশের ডেটা সুরক্ষা এবং জনগণের তথ্যের নিরাপত্তা বাড়বে।
অ্যাডমিনদের দায়িত্ব এবং নিয়মাবলী
নতুন নিয়ম অনুসারে, WhatsApp গ্রুপের অ্যাডমিনদের অবশ্যই তাদের গ্রুপের সদস্যদের তথ্য নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেহেতু গ্রুপ অ্যাডমিনদের কাছে মেম্বারদের ফোন নম্বরসহ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য থাকে, তাই ডেটা সুরক্ষা আইনের অধীনে এদের রক্ষণাবেক্ষণ করারও দায়িত্ব থাকবে। এছাড়া, গ্রুপে বিতর্কিত বা ভুল তথ্য ছড়ালে অ্যাডমিনকে দায়ী করা হবে এবং তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।
আরও পড়ুন, সারা ভারতে বদলে যাচ্ছে মোবাইল ব্যাবহারের নিয়ম। Jio Airtel VI BSNL সকল গ্রাহকদের এই নিয়ম মানতে হবে
নতুন আইনে প্রতিক্রিয়া
এ আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্তে বিরোধীরা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিরোধী দলগুলো বলেছে, এটি একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ, যা দিয়ে সরকার তার সমালোচকদের দমন করতে চাইছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে, এ আইনটি সরকারের সমালোচনামূলক আলাপ বন্ধ করতে এবং বিরোধী মতামতকে দমিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। অনেকের মতে, সরকারের বিপক্ষে কোনো কিছু বলা হলে সেই গ্রুপের অ্যাডমিনদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা ফ্রিতে গ্যাস কিভাবে পাওয়া যাবে?
জিম্বাবুয়ের সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে Whatsapp Group ব্যবহারকারীদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের কঠোর আইনি পদক্ষেপ ব্যক্তিগত গোপনীয়তার উপর হস্তক্ষেপ এবং স্বাধীনতার জন্য হুমকি। তারা মনে করছেন, সরকারের এই পদক্ষেপে WhatsApp ব্যবহার ও আলাপচারিতার পরিবেশে ভীতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেকেই উদ্বিগ্ন যে, এ নিয়মটি অনাকাঙ্ক্ষিত নজরদারি এবং ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।