WB Service Rules: অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের চাকরি ও বেতন নিয়ে বহুদিনের দাবী মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
West Bengal Employees Service Rules
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের চাকরি, বেতন ও পেনশন ও Service Rules সংক্রান্ত একাধিক দাবী নিয়ে Government Employees বা কর্মচারীদের আন্দোলন, মামলা ও ধর্মঘটের মধ্যদিয়েই বহুদিনের একটি দাবি মেনে নিলো রাজ্য সরকার। যার ফলে বহুদিন ধরে আটকে থাকা বহু নিয়োগ প্রক্রিয়া, বেতন ও পেনশন নিয়ে জটিলতা দূর হবে। যার জেরে স্বস্তি পাবে কর্মচারী ও প্রাক্তন সরকারি কর্মীদের পরিবার। এদিন রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি ও প্রকাশিত হলো। কি সেই দাবী, এবং কি কি সুবিধা হবে? এবং কোন পরিস্থিতিতে কি নিয়ম প্রযোজ্য হবে বিস্তারিত জেনে নিন।
West Bengal Government Employees Service Rules
কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু বা অচলাবস্থা হলে Die in Harness বা কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট ভিত্তিতে তার পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা ছিলো। যার জেরে বহু বছর ধরে বহু নিয়োগ আটকে ছিলো। আবার এক নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক দাবীদার থাকায়, কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে সেই বিষয়েও স্পষ্ট নিয়ম না থাকায় অনেক নিয়োগই আটকে ছিলো। এবার নতুন নিয়ম করে আগের সমস্ত বিভ্রান্তির অবসান করা হয়েছে, এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে আরো সরলীকরণ করা হয়েছে। যার ফলে কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর ভিত্তিতে সরকারি চাকরি বা নিয়োগ দিতে আর দেরি হবে না। আর কি নিয়ম হলো জেনেনিন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ২০২৩
আগে Die in Harness বা কমপ্যাশনেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট ভিত্তিতে চাকরির ক্ষেত্রে নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিবারের সবার NOC বা অনাপত্তি পত্র জমা দিতে হতো। এবং একাধিক দপ্তর থেকে অনুমতির পর সেই অনুমোদন মিলতো। সেক্ষেত্রে এই সার্বিক প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ও জটিল ছিলো। যার জেরে বহু চাকরি আটকে যেত। এছাড়া একাধিক দাবীদার থাকলে কে চাকরি পাবে, সেই বিষয়ে বিভ্রান্তি ছিলো।
এবার রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee নতুন আইন এনে কয়েকটি সমস্যার সমাধান করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ২০২৩ এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী কর্মরত কোনও সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের সদস্যের নিয়োগের ক্ষেত্রে ওই কর্মীর মা বাবার NOC এর দরকার হবে না। তবে এরজন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। এবং একাধিক দাবিদারের মধ্যে কে বেশি যোগ্য? এবং তার কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে, তা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, কালীপুজোর আগেই DA বাড়তে পারে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের। হটাত মিটিং
কারা চাকরি পাওয়ার যোগ্য?
- ছেলে, মেয়ে
- স্বামী বা স্ত্রী (বয়স থাকলে)
- কন্যার বিবাহ হলেও যোগ্য
- নিঃসন্তান হলে ভাই, ভাইপো
- পালিত পুত্র বা কন্যা
NOC নেওয়ার নিয়ম
একাধিক দাবীদার না থাকলে মৃত কর্মীর বাবা মা এর কাছ থেকে কোন NOC নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। তবে একাধিক দাবীদার থাকলে সকলের কাছ থেকে NOC নিতে হবে। যেন নিশ্চিত করা যায়, উপযুক্ত ব্যক্তি চাকরি পেলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তবে যিনি চাকরি পাবেন তাঁকে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে এবং মুচলেকা দিতে হবে।
চাকরি পাওয়ার পর দায়বদ্ধতা
নতুন নিয়মে যিনি চাকরি পাবেন, তাঁকে এই মর্মে লিখিত দিতে হবে যে,
১) তিনি যদি মৃত কর্মীর স্ত্রী, মেয়ে হন, তবে স্ত্রী যদি পুনরায় বিয়ে করেন এবং কন্যা যদি বিয়ে করেন, তবে মৃত কর্মীর বাবা মা বা অবিভক্ত পরিবারের অন্য সদস্যদের খোরপোষ বা সংসার চালানোর খরচ দিতে হবে।
২) যিনিই চাকরি পাবেন, চাকরি পাওয়ার পর মৃত কর্মীর পরিবার কে অস্বীকার করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন, দেশ জুড়ে চালু নতুন আইন, বাড়ি বাড়ি অফিসার যাবে। কি কি জিজ্ঞেস করবে?
সুতরাং আগের নিয়মে যে সংশোধনের প্রয়োজন ছিলো, সেটি নতুন নিয়মে দূর হয়েছে। যার ফলে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে, যে কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে তার নিকটাত্মীয় যিনি যোগ্য তাকেই চাকরি দেওয়া হবে। এবং যিনি চাকরি পাবেন, তিনি যে ঐ পরিবারকে দেখাশোনার জন্যই চাকরি পেয়েছেন, সেটা অস্বীকার করলে চলবে না। এর আগে দেখা গিয়েছে, চাকরি পাওয়ার পর অনেকেই পরিবার থেকে আলাদা হয়ে সেই পরিবার কে আর দেখে না। নতুন নিয়মের ফলে অসহায় পরিবার এবার স্বস্তি পাবে। এবং যিনিই চাকরি পান না কেন, তাঁকে ঐ পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে।