E Shram Card: বেকার ছেলে মেয়ে সবাইকে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কিভাবে ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করবেন?

Register for e-Shram Card

দেশের কোটি কোটি জনগণের স্বার্থে এখনো পর্যন্ত অনেক রকমের সামাজিক প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। E Shram Card তার মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পে ছেলে মেয়ে উভয়ই প্রতিমাসে টাকা পাবেন। এই প্রকল্পের সুবিধা কি? কারা আবেদন করতে পারবেন ও কি কি লাগবে, জেনে নিন।

E Shram Card details and benefits

৮ থেকে ৮০ সকলেই কোনো না কোনোভাবে এগুলির সুবিধা পান। এবার যারা ৬০ বছরের উর্ধ্বে পুরুষ বা মহিলা নাগরিক তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা এনেছে কেন্দ্র। এক নতুন প্রকল্প চালু হয়েছে যেখানে আবেদন করলেই ৩ হাজার টাকা পেনশন ঢুকছে একাউন্টে সকলের। তার জন্য শুধু নথি হিসেবে দেখাতে হচ্ছে এই কার্ড।

প্রধানমন্ত্রী ই শ্রম কার্ড যোজনা

দেশের অসংগঠিত কর্মীদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালে চালু করেছিলেন ই শ্রম কার্ড যোজনা। সাধারণত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের কোনও স্থায়ী আয়ের উৎস বা সামাজিক সুরক্ষা থাকেনা। যার কারণে তাদের বয়স জীবন কাটানো হয়ে পড়ে কঠিন। তাদের জন্যেই এই “E Shram Card”. এর আওতায় ৬০ বছর বয়স পেরোলে তাদের হাতে প্রতিমাসে নিশ্চিত ৩০০০ টাকা পেনশন দেয় কেন্দ্র সরকার। যা তাদের জীবনে ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করে।

ই শ্রম কার্ডের সুবিধাসমূহ

১. ৩০০০ টাকা পেনশন: ই-শ্রম কার্ডের অধীনে যেসব শ্রমিক ৬০ বছর বয়স পার করবেন, তারা প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন পাবেন। এর মাধ্যমে শ্রমিকরা বার্ধক্যকালীন সময়ে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
২. দুর্ঘটনা বীমা: এই কার্ডধারীরা দুর্ঘটনা বীমার অধীনেও সুবিধা পাবেন। কোনো দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। এছাড়া, আংশিক অঙ্গহানির ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

৩. গৃহ নির্মাণ সহায়তা: যেসব শ্রমিকদের নিজের বাড়ি নেই, তারা গৃহ নির্মাণে আর্থিক সহায়তা পাবেন। এটি বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলের শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুবিধা।
৪. গর্ভবতী মায়েদের সহায়তা: গর্ভবতী শ্রমিকদের জন্যও বিশেষ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। গর্ভাবস্থায় কাজ করতে অক্ষম হলে এই সহায়তা পাওয়া যাবে, যা শ্রমিক পরিবারগুলোর আর্থিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক।
৫. শিক্ষা সহায়তা: ই-শ্রম কার্ডধারীদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে তারা তাদের সন্তানদের উপযুক্ত শিক্ষার সুযোগ দিতে পারেন।

ই শ্রম কার্ডের যোগ্যতা

ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। এই কার্ডটি শুধুমাত্র অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য, অর্থাৎ যাদের কোনও নির্দিষ্ট আয় নেই। তবে আয়কর প্রদানকারী ব্যক্তি বা যারা EPFO বা ESIC সদস্য, তারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন, ভারতে শুরু হচ্ছে জনগননা। বাড়ি বাড়ি অফিসার যাবে। কি কি কাগজ সাথে রাখবেন জেনে নিন

ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন

ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। যে কেউ অনলাইনে বাড়িতে বসে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় নথি যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে। এর পরে, ই-শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নতুন নিবন্ধন করতে হবে। আধার লিঙ্কড মোবাইল নম্বর দিয়ে ওটিপি যাচাই করে আবেদন সম্পন্ন করা যায়।

আরও পড়ুন, আরো বিস্তারিত ও আবেদন করতে দেখুন

পেনশন পেতে হলে কী করতে হবে?

এটি মনে রাখতে হবে যে, ই শ্রম কার্ড করে শুধু বসে থাকলে ৩০০০ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে না। শ্রমিকদেরকে “প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা” প্রকল্পে আবেদন করতে হবে। এই প্রকল্পের অধীনে যারা আবেদন করবেন, তারা ৬০ বছর বয়স পার হলে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন পাবেন।

Related Articles

Back to top button