Employee Benefits – পশ্চিমবঙ্গে DA মামলার মাঝেই হাইকোর্টে এবার বেতন নিয়ে মামলা শুরু হলো। বেতন বাড়বে না কমবে?
West Bengal Government Employees
পশ্চিমবঙ্গে মহার্ঘভাতা তথা DA নিয়ে এখনোও ক্ষোভ এবং হতাশা চলছে কর্মীদের মনে। সরকারি কর্মীদের সুযোগ সুবিধা বা Employee Benefits, বেতন ভাতা বা Salary নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ ২০১৬ সাল থেকে। আর তার মাঝেই আরো একবার বেতন বৃদ্ধির (Salary Hike) জন্য আন্দোলন শুরু হচ্ছে রাজ্যে। এই আলোড়নের ফলে এবার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না পেলেও বেতন বৃদ্ধি কিছুটা ত্বরান্বিত হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। অবশেষে কি পকেট ভরবে কর্মচারী ও শিক্ষকদের (School Teacher)? নাকি নতুন এই মামলায় বেতন আরো কমে যাবে?
High Court Hearing for Govt Employee Benefits
কি কারনে মামলা?
রাজ্যের ডিএ (Dearness Allowance) আন্দোলনের অন্যতম নেতা ভাস্কর ঘোষ সম্প্রতি আরও একটি মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা মূলত কর্মচারী ও শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত। তার দাবি, ২০১০ সালে PTT (প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং) করে যারা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন, তারা এখনও পর্যন্ত A-Category বেতন স্কেলের অধীনে বেতন পাচ্ছেন না। এই প্রেক্ষাপটে তিনি ঘোষণা করেছেন, পুজোর আগেই কলকাতা হাইকোর্টে এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।
যার জেরে একদিকে এরিয়ার সহ বিপুল অঙ্কের বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকছে (Salary Hke Employee Benefits), তেমনি NCTE এর নিয়মের গেরোয় বেতন নিয়ে স্থগিতাদেশ ও পড়তে পারে। যদিও এই ঘটনার বাস্তবিক সত্যতা নেই, এবং কর্মীদের আন্দোলন প্রশমিত করার উদ্দেশ্যে নাকি গুজব রটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ মামলাকারী শিক্ষকদের।
শিক্ষকদের যুক্তি
ভাস্কর ঘোষ তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, “২০১০ সালে যারা এক বছরের ট্রেনিং করে যোগদান করেছেন, তাদের প্রথম দিন থেকেই A-Category Pay Scale পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বর্তমান এবং পূর্বতন সরকার তাদের প্রতি অন্যায় করেছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই মামলার জন্য দীর্ঘদিন প্রস্তুতি নেওয়া হলেও, ২০০৬ সালের জটিলতার কারণে এটি আটকে ছিল। কিন্তু এখন সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে, এবং পুজোর আগেই মামলাটি দায়ের করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের অবিচারের প্রতিবাদ। যারা ২০১০ সালে যোগদান করেছেন (School Teacher), তাদের অনেকেই এ-ক্যাটাগরি স্কেল না পাওয়ার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। ভাস্কর ঘোষ তার পোস্টে বলেন, “এই প্রাথমিক শিক্ষকদের (Primary School Teacher) প্রথম দিন থেকেই এই স্কেল পাওয়া উচিত ছিল, যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।”
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে ফের টানা ছুটি ঘোষণা। বন্ধ থাকবে স্কুল কলেজ ও সরকারি অফিস। ছুটির তালিকা দেখে নিন
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে আরও বলেন, “সংগঠনের পাশে থাকুন, এবং বিভ্রান্ত হবেন না। আমরা আশাবাদী যে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে, ন্যায়বিচার পাবেন শিক্ষকরা।” উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের গভার্নিং বডি ২২ সেপ্টেম্বর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, পুজোর সময়ে টাকার দরকার হলে এই দুটি প্রকল্পে আবেদন করুন।
সরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি লড়াই হতে চলেছে। তাদের আশা, আদালত এবার তাদের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেবে এবং তারা তাদের প্রাপ্য বেতন ফিরে পাবেন। যদিও এই সংক্রান্ত মামলা একবার শুরু হলে তা দীর্ঘদিন ধরে চলতেই থাকে। তারিখ পে তারিখ এর শুরু হয়। আর মামলা চালানো ও খরচ সাপেক্ষ। তাই এই মামলা রজু হলেও তার ভবিশ্যত সম্মন্ধে প্রশ্ন থেকে যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বেলা সাহা PRT Scale মামলা, আপার প্রাইমারী শিক্ষকদের TGT Scale মামলা, প্রাথমিক শিক্ষকদের Notional Effect সব এখন হিম ঘরে। অথচ এই দাবীতে কলকাতার বুকে লাখ লাখ শিক্ষকদের জমায়েত, আন্দোলন, জল কামান দেখেছে কলকাতা। তবুও সরকারের কাছ থেকে কিছুই আদায় হয়নি। এবার এটাই দেখার এই মামলার ভবিষ্যৎ কি হয়। যদিও উপরোক্ত মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যেতে পারে কমেন্ট সেকশনে। তবে বিগত ৫ বছরের বাস্তবিক ঘটনা অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ ভাবে তুলে ধরা হলো শুধুমাত্র। পরবর্তী আপডেট পেতে বাংলা একাডেমী ফলো করুন।
আরও পড়ুন, সরকারি কর্মীদের পুজো বোনাস বেড়ে গেল, কত টাকা পাবেন?