Ujjwala Yojana: উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের জন্য জারি করা হলো নতুন নির্দেশিকা, পুনরায় জমা করতে হবে বায়োমেট্রিক।
সমগ্র ভারতের সাধারণ জনগণের সাহায্যার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে সমগ্র ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উজ্জ্বলা যোজনা (Ujjwala Yojana) কার্যকর করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে উজ্জ্বলা যোজনা যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও বর্তমানে উজ্জ্বলা যোজনা সংক্রান্ত এমন এক বিশেষ নির্দেশিকা সামনে এসেছে, যাকে কেন্দ্র করে সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে উত্তরোত্তর চর্চা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্ভুক্ত ভর্তুকিযুক্ত সমস্ত গ্যাসের গ্রাহকদের আধার যাচাইকরণের মাধ্যমে তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য তেল সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। আর কেন্দ্র সরকারের তরফে এই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করার পর থেকেই তেল সংস্থার কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে, শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা এই নির্দেশিকার যৌক্তিকতাকে কেন্দ্র করেও যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছে।
এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্ত এলপিজি গ্রাহকদের তথ্য জমা দেওয়ার কথা বলা হলেও আগত ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ অর্থাৎ ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে তেল সংস্থাগুলি। সুতরাং, এ থেকেই আন্দাজ করা যায় যে, নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই আধার যাচাইকরণ সংক্রান্ত সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে চায় তেল সংস্থাগুলি। যদিও নানাবিধ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমস্ত তেল সংস্থাগুলিকে এখনও পর্যন্ত এই নির্দেশের কথা সরাসরি জানানো হয়নি। এমনকি এখনো পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনোরূপ প্রচার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ফলত এই নিয়ম কার্যকর করা হলে তেল সংস্থাগুলি সহ ডিস্ট্রিবিউটর এবং গ্রাহক, বিশেষত প্রবীণ গ্রাহকদের যথেষ্ট হয়রানির শিকার হতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিক্ষকের জন্য জারি হলো নতুন নিয়ম। না মানলেই খোয়া যাবে চাকরি।
সমগ্র ভারতব্যাপী স্বচ্ছ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির স্বার্থে বারংবার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত ১৮ই অক্টোবর তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের উপ-সচিব কুশাগ্র মিত্তল ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের কর্ণধারদের এক বিশেষ চিঠি মারফত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকর এই বিশেষ নির্দেশের কথা জানিয়েছেন। এই চিঠিতে তেল সংস্থাগুলির কর্ণধারদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, বর্তমানে উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্ভুক্ত যে সমস্ত গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে সেই সমস্ত গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে আধার যাচাই করতে হবে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি এই রিপোর্টে আরো জানানো হয়েছে যে, তিন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার তরফে ইন্ডিয়ান অয়েল-কে সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নানাবিধ সূত্র মারফত আরো জানা গিয়েছে যে, কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্র সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকা কোনো এক তেল সংস্থার মারফত বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছায়। মূলত whatsapp -এর মাধ্যমে এই নির্দেশ বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছেছে বলেই জানা গিয়েছে, এমনকি ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে বায়োমেট্রিকের সম্পূর্ণ পদ্ধতি সম্পন্ন করার কথা জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকায়। যদিও এ নিয়ে গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির তরফে কোনোরূপ নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। যদিও এই নির্দেশিকা সংক্রান্ত তথ্য গ্রাহকদের সম্মুখে আসার পর থেকেই আধার যাচাইকরণের বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত জলঘোলা করা হচ্ছে। যদিও এক বিশেষ সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, উজ্জ্বলা যোজনার আসল গ্রাহকদের চিহ্নিত করার জন্য এবং একই পরিবারের একাধিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকাশিত হলো কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দেবার তারিখ। জেনে নিন এখনই।
গ্রাহকদের সুবিধার্থে বিক্রেতা সংগঠনগুলির কর্মকর্তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে, গ্রাহকরা গ্যাস অফিসে গিয়ে নিজেদের বায়োমেট্রিক তথ্য জমা করতে পারবেন, এছাড়াও সিলিন্ডার ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে যেসকল ডেলিভারি বয়দের নিযুক্ত করা হয়েছে তাদের কাছেও এই বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দেওয়া সম্ভব। এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়েছে যে, উজ্জ্বলা যোজনার প্রচারের জন্য এক বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে এই গাড়িতে গিয়েও গ্রাহকরা নিজেদের বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দিতে পারবেন। যদিও এই অল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করা সম্ভব তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইন্ডেন এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশনের (পশ্চিমবঙ্গ), প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিজনবিহারী বিশ্বাস, অল ইন্ডিয়া ভারত গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশনের (পূর্বাঞ্চল) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুকোমল সেন এবং ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (এইচপি গ্যাস) এলপিজি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় আগরওয়াল।
এইসকল বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহক এবং বিক্রেতা উভয়কেই যথেষ্ট হয়রানির শিকার হতে হবে। বায়োমেট্রিক -এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে বিক্রেতাদের উপর আর্থিক বোঝা বাড়বে বলেই মনে করছেন তারা। এছাড়াও এত স্বল্প সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিকের সমস্ত তথ্য জমা করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে, শুধু তাই নয় বায়োমেট্রিক করার ক্ষেত্রে বিক্রেতা সংস্থাগুলির পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, এমনটাই দাবি করেছেন এই সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। তাদের দাবি, সিলিন্ডার ডেলিভারি বয়দের কাজ থাকে, সুতরাং তাদের মাধ্যমে বায়োমেট্রিকের তথ্য জোগাড় করতে গেলে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ডেলিভারি বয় এবং গ্রাহক উভয়কেই। ৩১শে ডিসেম্বর -এর মধ্যে কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হবে তা নিয়ে যথেষ্ট ধন্ধে রয়েছেন তেল সংস্থার কর্ণধার থেকে শুরু করে কর্মী, বিক্রেতা সংস্থাগুলি এবং সাধারণ জনগণ।