Salary Hike: জানুয়ারি থেকে থেকে 7000 টাকা বেতন বাড়বে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের। ঘোষণা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর
Salary Hike for Government Employees
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (Dearness Allowance) দেওয়া নিয়ে বহুদিন ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীরা (Government Employee Salary Hike) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। সেই নিয়ে কোন ইতিবাচক ঘোষণা এখনো না করা হলেও এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশকে বিরাট সুখবর দিলেন তিনি। এক ধাক্কায় ৭০০০ টাকা বেড়ে গেল নূন্যতম বেতন। ২০২৫ সাল থেকেই এই নতুন বেতন কাঠামো চালু হবে বলে খবর। যা এই মুহূর্তে খুশির হাওয়া ছড়াচ্ছে রাজ্যের কর্মীদের মনে।
Salary Hike for West Bengal Government Employees
দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে বড় পদক্ষেপ
রাজ্যের সরকারি কর্মীরা বহুদিন ধরে বেতন বৃদ্ধি এবং মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। বিশেষত কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান না হওয়ায় রাজ্যজুড়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। এবার তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পুরন না হলেও রাজ্যের আংশিক শ্রেণীর কর্মীদের দাবি কিছুটা হলেও হলেও পূরণ হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এই কর্মীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো চালু করার ঘোষণা করেছে, যা কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তায় বড় মাইলফলক বলে মনে করা হচ্ছে।
কাদের বেতন বাড়ছে?
রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ভকেশনাল ও কম্পিউটার সাক্ষরতা মিশন প্রকল্পের ITC Computer Teacher দের জন্য এই ভাতা বাড়ানোর (Salary Hike) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন কাঠামো অনুযায়ী, পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে কর্মীর নূন্যতম বেতন হবে ২১,০০০ টাকা। দশ বছর চাকরি করলে এই বেতন বেড়ে হবে ২৬,০০০ টাকা। পনেরো বছর পূর্ণ হলে তা দাঁড়াবে ৩২,০০০ টাকায় এবং বিশ বছরের অভিজ্ঞতায় কর্মীরা পাবেন নূন্যতম ৩৯,০০০ টাকা। এক ধাক্কায় ৭,০০০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের কর্মীদের জন্য বড় স্বস্তি বয়ে এনেছে।
চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য নতুন ব্যবস্থা
এতদিন চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা তাদের ভাতা বৃদ্ধির (Salary Hike) ক্ষেত্রে অস্পষ্ট নিয়মের শিকার হতেন। এবার সরকার এই সমস্যা দূর করতে বছরে একবার তাদের বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি অভিজ্ঞতা ও কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে। ফলে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মমতা সরকার জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করার পাশাপাশি তাদের কাজের প্রতি আগ্রহ এবং দায়িত্ববোধ বাড়াবে। মূল্যবৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলে ব্যাখ্যা করেছে সরকার। তারা আরও জানিয়েছে যে, ২০২৫ সাল থেকে এই কাঠামো কার্যকর হলে রাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামো আরও মজবুত হবে।
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনীতির ময়দানে বিরোধীরা সমালোচনা করতে ছাড়েনি। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ভোট ব্যাংক ধরে রাখার কৌশল। রাজ্যের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সরকারি কর্মীদের খুশি করার চেষ্টা চলছে।” যদিও তৃণমূল এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, “এটি একটি জনমুখী পদক্ষেপ যা কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে।”
সাধারণ রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রতিক্রিয়া
সরকারি কর্মীদের একাংশ এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও অনেকে আরও বড় পদক্ষেপের প্রত্যাশা করেছিলেন। বিশেষত কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিটি এখনো অমীমাংসিত থাকায় কর্মীদের একাংশে অসন্তোষ রয়ে গেছে। তবে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে বেশিরভাগ কর্মীই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।