Bangla Shasya Bima: দানা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কারা ও কিভাবে এই টাকা পাবেন?
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বাংলার কৃষিক্ষেত্রে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার জেরে বাংলা শস্য বিমা তথা Bangla Shasya Bima প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের (Krishak Bandhu) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রচুর চাষের জমি নষ্ট হয়েছে, ফলে কৃষকদের চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এই অবস্থায় সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে আবেদন করার সময়সীমা আরও এক মাস বাড়িয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
West bengal Bangla Shasya Bima Fund Release
শুক্রবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধানচাষসহ বিভিন্ন ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে Bangla Shasya Bima এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি চিহ্নিত করতে এবং সেইসব জমির কৃষকদের তালিকা তৈরির জন্য ফিল্ড সার্ভে করা হবে। এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী কৃষি দফতরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন এই কাজে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং কোনও কৃষক যাতে বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন, রান্নার গ্যাস নিয়ে বড় ঘোষণা গ্রাহকদের জন্য! কতটা সুবিধা হবে এবারে?
পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রায় দুই লাখ হেক্টর জমিতে চাষের ক্ষতির রিপোর্ট পেয়েছে। বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানের মতো বেশ কিছু জেলার ধান চাষ এ বন্যার জলে তলিয়ে যাওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে শস্য বিমার অর্থ প্রদান করা হবে, যা তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ করতে সাহায্য করবে।
কিভাবে টাকা পাবেন?
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনে প্রতিটি জেলায় ক্যাম্প করা হবে, যেখানে কৃষকরা তাদের বিমার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের ফসল নষ্ট হলে তার সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে সেই অর্থ তাদের সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলোর একটি সঠিক তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে নতুন প্রকল্প চালু হলো। আবেদন করলেই পাবেন 8000/- টাকা।
বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পটি খরা, বন্যা, ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যেন সঠিকভাবে বিমার সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।