আব্দুল কালাম স্কলারশিপের আওতায় ছাত্র-ছাত্রীরা ২০,০০০ টাকার বার্ষিক অনুদান পেয়ে যাবেন। আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন।

সমগ্র ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বসবাসকারী দুঃস্থ, দরিদ্র এবং অসহায় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজ্যগুলির রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকর স্কলারশিপগুলি। শুধু তাই নয়, নানাবিধ নামজাদা সংস্থার কার্যকরী স্কলারশিপগুলিও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হয়ে থাকে। আর BUDDY4STUDY ফাউন্ডেশনের তরফে কার্যকরী Dr. Abdul Kalam Scholarship for Medical/Engineering Aspirants তেমনই এক বিশেষ স্কলারশিপ, যার মাধ্যমে ভারতে বসবাসকারী অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অনুদান পেয়ে থাকেন।

আব্দুল কালাম স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যক যোগ্যতা:-

১. BUDDY4STUDY ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জারি করা তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকরা এই স্কলারশিপের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
২. যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বা দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা এই স্কলারশিপের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
৩. যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বর্তমানে স্টেট লেভেল অথবা ন্যাশনাল লেভেলের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল এন্ট্রান্স টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা এই স্কলারশিপের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
৪. আব্দুল কালাম স্কলারশিপের অধীনে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীর পরিবারের বাৎসরিক আয় ৩ লক্ষ টাকা বা তার তুলনায় কম হওয়া আবশ্যক।

অনুদানের পরিমাণ:-

BUDDY4STUDY ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এই স্কলারশিপের আওতাভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রত্যেক বছরে ২০,০০০ টাকার অনুদান পেয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন:- সদ্যোজাত শিশুদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তরফে দেওয়া হবে এক বিশেষ উপহার। বিস্তারিত জেনে নিন।

আবেদনের প্রক্রিয়া:-

আব্দুল কালাম স্কলারশিপের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে একজন ছাত্র অথবা ছাত্রীকে প্রথমেই BUDDY4STUDY ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.buddy4study.com/page/dr-abdul-kalam-scholarship-for-medical-engineering-aspirants -এ পৌঁছে যেতে হবে। উক্ত ওয়েবসাইটের হোম পেইজে আবেদনকারী শিক্ষার্থী আব্দুল কালাম স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত প্রকার তথ্য দেখতে পারবেন। এরপর এই পেজটির একেবারে নিচের দিকে থাকা Apply Now অপশনে ক্লিক করতে হবে। উপরোক্ত অপশনে ক্লিক করার পর আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে নিজের মোবাইল নম্বর অথবা ইমেইল অ্যাড্রেসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ইতিপূর্বে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা থাকলে Login অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে নিজের মোবাইল নম্বর কিংবা ইমেইল অ্যাড্রেস মারফত লগইন -এর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন কিংবা লগইন -এর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে পরবর্তী পেজে থাকা Start Application অপশনে ক্লিক করতে হবে। উপরোক্ত অপশনে ক্লিক করলেই আব্দুল কালাম স্কলারশিপের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মটি উক্ত শিক্ষার্থীর সামনে চলে আসবে। পরবর্তীতে ফর্মটিতে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিগত পরীক্ষার নম্বর, আধার নম্বর, ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রকার তথ্যগুলি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং ফর্মে উল্লেখিত সমস্ত নথিগুলি সঠিকভাবে আপলোড করতে হবে। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে সমস্ত নথি নির্ভুলভাবে আপলোড করার পর Submit অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে আবেদন পত্রটি জমা করলেই আব্দুল কালাম স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।

আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপত্র:-

১. উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কিংবা দ্বাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষার মার্কশীট।
২. আবেদনকারীর ফটো আইডেন্টিটি প্রুফ।
৩. ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র।
৪. আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রী বর্তমানে যে কোর্সে পড়াশুনা করছেন তাতে ভর্তির রশিদ।
৫. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পরিবারের বাৎসরিক আয়ের সার্টিফিকেট।
৬. শিক্ষার্থীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৭. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর ব্যাংকের পাস বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স কপি।

Related Articles

Back to top button