PM Kisan Yojana: ৩০ এপ্রিলের আগে এই কাজ না করলে প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার টাকা পাবেন না
Pradhanmantri Kisan Samman Nidhi Yojana
ভারতের কৃষক বন্ধুদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা (PM Kisan Yojana) একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা বছরে ৬,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পান। এই টাকা তিনটি কিস্তিতে, প্রতি চার মাস অন্তর ২,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত কৃষকরা ১৯টি কিস্তির টাকা পেয়েছেন, এবং এখন সবাই অপেক্ষায় রয়েছেন ২০তম কিস্তির জন্য, যা সম্ভবত জুন মাসে দেওয়া হবে। কিন্তু এই কিস্তির টাকা পেতে কৃষকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। না হলে টাকা আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আসুন জেনে নিই এই বিষয়ে বিস্তারিত এবং কী করতে হবে তা পয়েন্ট আকারে:
১. ফার্মার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক
- কৃষি মন্ত্রক জানিয়েছে, ফার্মার আইডি কার্ড (Farmer ID Card) ছাড়া ২০তম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে না।
- এই কার্ডটি কৃষকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে এবং প্রকল্পের সুবিধা সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করবে।
- কৃষক বন্ধুদের ফার্মার আইডি কার্ড দেখতে অনেকটা আধার কার্ডের মতো হবে এবং এটি সরকারি ডাটাবেসে কৃষকদের তথ্য সংরক্ষণ করবে।
২. ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করুন
- কৃষকদের অবশ্যই ৩০ এপ্রিল, ২০২৫-এর মধ্যে ফার্মার আইডি কার্ড তৈরি করে নিতে হবে।
- এই সময়সীমার পরে কার্ড না থাকলে পিএম কিষাণ যোজনার টাকা পেতে সমস্যা হতে পারে।
- তাই সময় থাকতে এই কাজটি সম্পন্ন করা জরুরি।
৩. কোথায় করাবেন ফার্মার আইডি কার্ড?
- কৃষকরা তাদের নিকটবর্তী কৃষি দফতর, রাজস্ব দফতর, বা পাবলিক সার্ভিস সেন্টার (CSC)-এ গিয়ে এই কার্ড তৈরি করতে পারেন।
- এছাড়া, অনলাইনে পিএম কিষাণ পোর্টাল (pmkisan.gov.in) থেকেও ফার্মার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যায়।
- স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন।
৪. কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
ফার্মার আইডি কার্ড তৈরির জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলি প্রয়োজন হতে পারে:
- আধার কার্ড (পরিচয় নিশ্চিত করতে)
- জমির কাগজপত্র (খতিয়ান, মিউটেশন সার্টিফিকেট)
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ (যেখানে কিষাণ যোজনার টাকা জমা হয়)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মোবাইল নম্বর (যা আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করা আছে)
এই নথিগুলি সঙ্গে নিয়ে গেলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হবে।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চাকরিহারা শিক্ষকদের সুখবর।
৫. কেন এই নিয়ম চালু হল?
- পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সুবিধা যাতে শুধুমাত্র প্রকৃত কৃষকরা পান, তা নিশ্চিত করতে এই ফার্মার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
- অনেক সময় দেখা গেছে, অযোগ্য ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন। এই কার্ড তৈরির মাধ্যমে সরকার এই সমস্যা দূর করতে চায়।
- এছাড়া, ফার্মার আইডি কার্ড কৃষকদের অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতেও সাহায্য করবে।
৬. কীভাবে চেক করবেন নিজের স্ট্যাটাস?
- কৃষকরা পিএম কিষাণ পোর্টাল (pmkisan.gov.in) বা পিএম কিষাণ মোবাইল অ্যাপ থেকে তাদের রেজিস্ট্রেশন স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।
- এছাড়া, হেল্পলাইন নম্বর ১৫৫২৬১ বা ১৮০০-১১৫-৫২৬-এ যোগাযোগ করেও তথ্য পাওয়া যাবে।
- ফার্মার আইডি কার্ড তৈরির পর এটি যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
৭. আর কী কী করতে হবে?
- PM Kisan Yojana e-KYC আপডেট রাখুন। পিএম কিষাণ যোজনার টাকা পেতে আধার-লিঙ্কড ই-কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক।
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল নম্বর সঠিক কিনা তা যাচাই করুন।
- জমির তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করুন, যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
আরও পড়ুন, এই প্রকল্পে মাসে 8000 টাকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এইভাবে আবেদন করুন
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প?
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা ভারতের কোটি কোটি কৃষকের জন্য একটি আর্থিক সুরক্ষা। এই প্রকল্প কৃষকদের কৃষি সংক্রান্ত খরচ মেটাতে সহায়তা করে। তবে, ফার্মার আইডি কার্ড না থাকলে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সময় থাকতে এই কাজটি সম্পন্ন করুন।
শেষ কথা
যদি আপনি পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সুবিধাভোগী হন, তাহলে দেরি না করে ৩০ এপ্রিল, ২০২৫-এর মধ্যে ফার্মার আইডি কার্ড তৈরি করে নিন। এটি শুধু ২০তম কিস্তির টাকা পেতে নয়, ভবিষ্যতেও অন্যান্য সরকারি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। নিকটবর্তী কৃষি দফতর বা পাবলিক সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করুন এবং সময়মতো এই কাজ সম্পন্ন করুন।