প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। E Shram Card পেলেই টাকা পাবেন। কিভাবে আবেদন করবেন?
E Shram Card Pension Yojana 2025
প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা দেওয়া হবে দেশের আম জনতাকে। ই শ্রম কার্ড প্রকল্প (E Shram Card Yojana 2025) নিয়ে আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু সকলের কাছে সঠিক তথ্য না থাকার জন্য অনেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহন করতে পারছেন না। ২০২১ সালের ২৬ শে আগস্ট এই ই শ্রম পোর্টাল দেশের সকল অসংগঠিত ক্ষেত্র কাজ করা মানুষদের জন্য শুরু করা হয়েছিল এবং এর মুল উদ্দেশ্য হল সকলকে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা।
E Shram Card status check by Aadhaar Card
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে দেশের শ্রমিকদের জন্য অনেক ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে এবং এর মধ্যে এই ই শ্রম অন্যতম। আর এই প্রকল্পে ২০ কোটির বেশি মানুষরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে নিয়েছে সুবিধা পাওয়ার জন্য। কিন্তু এমন কোটি কোটি মানুষ আছে যাদের এই সুবিধা পাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বিস্তারিত তথ্য না জানার জন্য আবেদন করতে পারছেন না।
ই শ্রম কার্ড টাকা কবে দেবে
কিন্তু কিভাবে এই ৩০০০ টাকা পাওয়া যাবে? সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। এই স্কিম শ্রমিকদের ভবিষ্যতে সকল প্রকারের সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যেই সকল মানুষেরা কম বয়সে বেশি পরিশ্রম করার মাধ্যমে টাকা রোজগার করে থাকে, কিন্তু বয়স হয়ে গেলে কারোর পক্ষে এত বেশি কাজ করা সম্ভব হয় না।
ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা
শ্রম এবং রোজগার মন্ত্রালয়ের তরফে এই স্কিমের সকল তদারকি করা হয়ে থাকে। ৬০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে এবং কাজ করার সময় এই কার্ড থাকা শ্রমিকদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরন দেওয়া হবে। যেই সকলের নিজের বাড়ি নেই তাদের বাড়ি বানানোর জন্য টাকা ও মহিলাদের বাচ্চা হওয়ার আগে টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও সকল শ্রমিকদের বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য টাকা দেওয়া হবে।
ATM থেকে টাকা তোলার খরচ বেড়ে গেল। কোন ব্যাংকে কত খরচ হবে জেনে নিন
ই শ্রম কার্ড চেক ব্যালেন্স
কিন্তু এই কার্ড এর সুবিধা পাওয়ার জন্য সকলকে ১৬ – ৫৯ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। যেই সকল মানুষদের আয় করার কোন সঠিক উপায় নেই মানে প্রতিমাসে মাইনে পান না তারাই এই আবেদন করতে পারবে। মাসে মাসে বেতন পেলে তারা বা আয়কর জমা দিলে এই সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা একদমই নেই তাদের। EPFO ও ESIC-র সদস্যরাও আবেদন করতে পারবেন না, আর এই আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন।
বাংলা আবাস যোজনায় আরো ১ লক্ষ বাড়ি দিচ্ছে। আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট ও ঘরের টাকা পেতে কি করবেন?
ই শ্রম অনলাইন আবেদন পদ্ধতি ও নথিপত্র
প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাবেন, তারপরে New Registration অপশনে ক্লিক করে তথ্য দিয়ে দিতে হবে। আধারের সঙ্গে যেই মোবাইল নম্বর আছে সেইটা দিলে OTP পাবেন, সেটা বক্সে দিয়ে দিতে হবে। তারপরে যেই ফর্ম আসবে সেখানে নিজের তথ্য দিতে হবে ও শেষে ব্যাংকের তথ্য দিতে হবে। আর আবেদনের আগে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ছবি দিতে হবে তাই আগের থেকে নিজের কাছে রাখবেন।