সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দারুণ সুবিধা দিলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। খুশিতে আত্মহারা সকলে
Government of West Bengal
পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (West Bengal Civic Volunteer) জন্য দারুণ সুবিধা নিয়ে আসলো রাজ্য সরকার (Government of West Bengal). আমরা সকলেই জানি যে বর্তমানে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশের সাথে সিভিকরাও নিজেদের অক্লান্ত পরিশ্রম করার মাধ্যমে সকলকে পরিষেবা দিয়ে চলেছে সারাদিন। এবারে তাদের জন্য দারুন খবর জানানো হয়েছে।
Good News for Civic Volunteer
এক পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমানে সমগ্র রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার সিভিক কর্মরত রয়েছে। আর যে কোন ধরণের মুশকিল সময়ে বা উৎসবের সময়ে এই সকল কর্মীদের সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখতে পাওয়া যায়, আর সেই জন্য রাজ্যবাসীদের সুবিধা হয়। বিশেষ করে দুর্গাপুজো, কালিপুজো, দীপাবলি, ধনতেরাসের সময়ে রাস্তা ঘাটে বেশি ভিড় সামলানোর জন্য এই সকলকে ব্যবহার করা হয়।
ব্যাংক থেকে ঋণ পাবে সিভিক ভলেন্টিয়াররা
এবারে বাকি সকল কর্মীদের মত সিভিকরাও ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। রাজ্য পুলিশের তরফে এক সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে এই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন ধরেই এই কর্মীদের টাকার দরকার হলেও তারা এই সুবিধা পাচ্ছিলেন না এবং এই কারণের জন্য তাদেরকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কিন্তু এবারে অনেকদিনের এই দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
কারণ সিভিকরা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও তাদের চাকরির কোন ভবিষ্যৎ নেই! এই কারণ দেখিয়ে সকল ব্যাংক তাদের ঋণ দিতে অস্বীকার করছিল এতদিন ধরে। কারণ তারা সময় মত ঋণ ফেরত দিতে পারবেন কিনা সেই নিয়ে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে আগামীদিনে এমনটাই মনে করতেন ব্যাংক কর্তারা। এই কথা ভেবেই নবান্ন ও পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মীরা নতুন চিন্তা ভাবনা করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের ১ লাখ রেশন কার্ড বাতিল ঘোষণা। কাদের বাতিল হলো? ফ্রি রেশন কার্ড চালু রাখতে কি করতে হবে?
আর এই ঋণের টাকা কিভাবে পাবেন?
সিভিক ভলেন্টিয়াররা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সব থেকে বেশি ঋণ নিতে পারবে ব্যাংক থেকে, আর এই টাকা পাওয়ার জন্য সকল সিভিকদের নিজেদের বাড়ির দলিল ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হবে, তাহলেই এই টাকা দেওয়া হবে তাদের নইলে দেওয়া হবে না। তাই এবারে সকল সিভিকদের স্যালারি একাউন্ট নতুন ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।প্রথমে সকল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিজেদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও নিজের বাড়ির দলিল সামনে রাখতে হবে, নতুন একাউন্টের তথ্যের সঙ্গে ঋণের আবেদনপত্র ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে হবে।
লোনের জন্য ফর্ম ফিলাপ করতে হবে ও আপনার সকল তথ্য মঞ্জুর করা হয়ে গেলে আপনার ব্যাংকে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে, আর এর ফলে অনেকটাই সুবিধা হবে সকল কর্মীদের। আর ২০২৬ সালের আগে সরকারের তরফে এই ঘোষনা করা ফলে অনেকেই এই খবরটিকে বিধানসভা ভোটে সুবিধা পাওয়ার হিসাবে দেখছেন। এবারে সে যেই কারনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, আখেরে সিভিকদের খুবই সুবিধা হতে চলেছে বলেই মনে করছেন অনেকে।