প্রতিমাসে একাউন্টে টাকা ঢুকবে। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রীদের জন্য সেরা পাঁচটি স্কলারশিপ

Top 5 scholarship for Girls Students

বাংলা অ্যাকাডেমি ডেস্ক : মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর একটা সময় মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। এখন বিয়ে দেওয়া না হলেও, একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, ড্রপ আউট স্টুডেন্টদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাটাই কিন্তু বেশি। তাইতো অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাওয়া মেয়েদের। তাই মেয়েদের জন্য স্কলারশিপ (Scholarship) চালু করেছে সরকার ও প্রাইভেট কোম্পানিগুলি।

ছাত্রীদের সেরা পাঁচ স্কলারশিপ (Scholarship)

 ১) কোটাক কন্যা বৃত্তি:- দেশের সকল ছাত্রীদের কোটাক ব্যাঙ্ক বৃত্তি প্রদান করে। বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা করে পান ছাত্রীরা।

কারা আবেদনের যোগ্য:- এই স্কলারশিপের (Scholarship) জন্য আবেদন করতে পারবেন নতুন শিক্ষা বর্ষে ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি সহ বিভিন্ন পেশাগত কোর্স যে সকল ছাত্রী ভর্তি হয়েছেন তারা। সে ক্ষেত্রে পরিবারের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হওয়া বাধ্যতামূলক।

২) সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ:-ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপ (Scholarship) দেয় সীতারাম জিন্দাল ফাউন্ডেশন। মাধ্যমিক পাশ থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য যে কোন ধরনের কোর্স করলেই মেলে এই স্কলারশিপ। ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত দেয়া হয়।

কারা আবেদনের যোগ্য: এই স্কলারশিপে আবেদন করতে হলে মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেতে হবে।  এই স্কলারশিপ আবেদন করার যোগ্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ছাত্রীরা। পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।

৩) প্রগতি বৃত্তি স্কলারশিপ:-অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল টেকনিক্যাল এডুকেশন এর আওতায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কলেজে ডিপ্লোমা হোক বা, ব্যাচেলর ডিগ্রী করতে করলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্কলারশিপ (Scholarship) পাওয়া যায়। ৩০,০০০ টাকা বৃত্তি পেয়ে থাকেন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টরা।

কারা আবেদনের যোগ্য :-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর খেতে হবে। পরিবারের বাৎসরিক আয় ২ লক্ষ টাকার উপরে হবে না।

কন্যার ভবিষ্যৎ নিয়ে আর চিন্তা নেই! মেয়ের বাবাদের দিশা দেখাচ্ছে কেন্দ্রের এই প্রকল্প

৪) কন্যাশ্রী K3 স্কলারশিপ:-পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য এই স্কলারশিপ (Scholarship) দেয়। উচ্চশিক্ষার জন্য কলা বিভাগের পাঠরত ছাত্রীরা ২০০০ টাকা পান। বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে ২৫০০ টাকা প্রতি মাসে দেওয়া হয়।

কারা আবেদনের যোগ্য:-স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করা ছাত্রীরা এবং পূর্ববর্তী স্নাতক স্তরে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলে আবেদন করা যাবে।

৫) বিজ্ঞানী কন্যা মেধাবৃত্তি স্কলারশিপ:- এই স্কলারশিপের (Scholarship) আওতায় ১২৫০ টাকা সহ বই কেনার জন্য আড়াই হাজার টাকা পেয়ে থাকেন উচ্চমাধ্যমিকে জুনিয়র বিজ্ঞানী কন্যারা। সিনিয়র বিজ্ঞানী কন্যা অর্থাৎ যারা গ্রাজুয়েশন করছেন, তারা মাসে ৪০০০ টাকা বৃত্তি এবং বই কিন্তু এককালীন ৫,০০০ টাকা পান।

কারা আবেদনের যোগ্য:- এই শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলে আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে ছাত্রীদের পারিবারিক বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার কম হওয়া বাঞ্ছনীয়।

Related Articles

Back to top button