DAP Subsidy: কৃষক বন্ধুদের একাউন্টে টাকা দিচ্ছে। কারা এই টাকা পাবেন? কিভাবে আবেদন করবেন?
PM Fasal Bima Yojana Crop Insurance
বছরের শুরুতেই কৃষক বন্ধুদের জন্য সরকারের তরফে ভর্তুকি (DAP Subsidy 2025) নিয়ে বড় আপডেট পাওয়া গেল।দেশের জন সাধারণের জন্য খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে এই কৃষকরা। সরকার কৃষকদের জন্য আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের (Indian Farmers) আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে আরও কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। এর মধ্যে রয়েছে সারের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং ফসল বিমা যোজনায় বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি।
PMFBY DAP Subsidy for PM Kisan Holders
নতুন বছরের প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের আর্থিক সহায়তার জন্যে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই বিষয়ে কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তার সমন্ধে বৈঠকে ঘোষণা করেছেন। কৃষিকাজ করার জন্য একজন কৃষকের সার, কীটনাশক উন্নত যন্ত্রপাতি কিনতে অনেকটাই অর্থ ব্যয় করতে হয়। বর্তমানে যে হারে বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সাথে চাষবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক ও যন্ত্রের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষক বন্ধুদের জন্য শস্য বীমা প্রকল্প
রাসায়নিক সার ডি অ্যামোনিয়াম ফসফেট (DAP) যাতে আরো কম মূল্যে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা যায়, তার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার অতিরিক্ত ৩৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। ৫০ কেজি ডিএপি সারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ১৩৫০ টাকা, যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এতদিন খোলা বাজারে এই সার কিনতে যে পরিমাণ অর্থ দিতে হতো একজন কৃষককে, এখন থেকে সেই দাম অনেকটাই কম করার ফলে দেশের কৃষকরা অনেকটাই উপকৃত হবেন।
PM Fasal Bima Yojana 2025
কৃষকদের আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ফসল বীমা যোজনা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়, বৃষ্টি, বন্যার কারণে চাষীদের চাষ যোগ্য জমি ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। এই জন্য ফসল বীমা যোজনা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। বৈঠকে এই ফসল বীমা যোজনার যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হতো তার পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই বিষয়ে ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। নতুন ভাবে বরাদ্দের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা।
এই নম্বরে ফোন করলেই বাংলা আবাস যোজনার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা একাউন্টে ঢুকবে
এর মধ্যে ৮০০ কোটি টাকা প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণের জন্য এবং কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে আরও ৮২৪.৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক আন্দোলনের প্রধান দাবি দাওয়া ছিল ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা। যদিও কৃষক আন্দোলনের দাবি দাওয়া সম্পূর্ণ মেনে নেওয়া হয়নি, তবে সারের দাম কমানো এবং ফসল বীমা যোজনার আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।
এই দুই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের কৃষক বন্ধুদের আর্থিক অবস্থার আরো অনেক উন্নতি হবে, সেই সাথে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে এমনটা মনে করা হচ্ছে। আর এই বছরের বাজেটে দেশের সকল চাষিদের জন্য কিছু বড় ঘোষনা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ততদিন পর্যন্ত সকলকে অপেক্ষা করতে হবে এই জানার জন্য যে সরকারের তরফে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।