সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা পেতে হলে KYC জমা করতে হবে। নতুন নির্দেশিকায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি। শেষ তারিখ কবে?

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা এসেছে। এখন থেকে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) পেতে KYC (Know Your Customer) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম পালন না করলে বেতন সংশোধন, পেনশন এবং ডিএ এর সুবিধা পেতে সমস্যা হতে পারে। সরকারের এই নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় থাকতে এই নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি।

কেন বাধ্যতামূলক করা হল মহার্ঘ ভাতা KYC?

সরকারের এই নির্দেশের মূল উদ্দেশ্য হল স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং সঠিক ব্যক্তির কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। KYC-র মাধ্যমে কর্মীদের পরিচয় এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করা হবে। এতে জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়া, সরকারি সুবিধার সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

কীভাবে KYC জমা দেবেন?

KYC প্রক্রিয়া খুবই সহজ। সরকারি কর্মীদের নিজ নিজ দপ্তরের নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথি জমা দিতে হবে। এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথির প্রয়োজন হবে, যেমন:

• পরিচয়পত্র: আধার কার্ড, ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট।
• ঠিকানার প্রমাণ: বিদ্যুৎ বিল, রেশন কার্ড বা অন্যান্য সরকারি নথি।
• ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ: বেতন বা ডিএ পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং IFSC কোড।

এই নথিগুলো স্ক্যান করে অনলাইনে আপলোড করতে হবে। যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে দপ্তরের এইচআর বিভাগ বা নির্দিষ্ট হেল্পডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

ডিএ বৃদ্ধির খবর

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি কার্যকর হয়েছে। এই বৃদ্ধির ফলে লক্ষ লক্ষ কর্মী উপকৃত হচ্ছেন। তবে, এই সুবিধা পেতে KYC সম্পন্ন করা এখন বাধ্যতামূলক। সরকারের এই পদক্ষেপ কর্মীদের আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা আনবে।

মহা KYC জমা দেওয়ার শেষ তারিখ কবে?

সরকার জানিয়েছে, আগামী ৩০ মে, ২০২৫ এর মধ্যে সব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এই সময়সীমার মধ্যে KYC জমা না দিলে ডিএ এবং অন্যান্য সুবিধা পেতে বিলম্ব বা সমস্যা হতে পারে। তাই দেরি না করে এখনই প্রয়োজনীয় নথি তৈরি করে KYC সম্পন্ন করা উচিত।

আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের অফিস টাইম ৮ ঘন্টা থেকে কমে ৬ ঘন্টা হচ্ছে। কি অর্ডার প্রকাশিত হল?

কী করবেন এখন?

যদি আপনি একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী হন, তাহলে দ্রুত KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। নিজের দপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দেশিকা দেখে নিন। প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সময়সীমার আগেই জমা দিন। এতে আপনার ডিএ এবং অন্যান্য সুবিধা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।

আরও পড়ুন, সোনার গয়না যারা কিনবেন ভাবছেন, তাদের জন্য সুখবর।

শেষ কথা

সরকারের এই নতুন নিয়ম কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। KYC জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার ডিএ এবং অন্যান্য সুবিধা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাবেন। তাই সময় নষ্ট না করে এখনই পদক্ষেপ নিন এবং ৩০ মে, ২০২৫-এর মধ্যে KYC সম্পন্ন করুন।