EPFO Minimum Wages: বছরের শুরুতেই চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে। সমস্ত কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি দেড় গুন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

Minimum Wages Act

কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই কর্মচারী ভবিষ্য তহবিল (EPFO) এর অধীনে ন্যূনতম মজুরি সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা (Minimum Wages Act) গ্রহণ করতে পারে। বর্তমান সীমা ১৫,০০০ টাকা থেকে ২১,০০০ টাকায় উন্নীত হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে এই পরিমাণ। এর ফলে দেশের বেশ কিছু কর্মী (Employee Benefits) এবং তাদের নিয়োগকর্তারা আরো বেশি সুযোগ সুবিধা লাভ করবেন। তবে প্রশ্ন, কি কি সুবিধা আসতে পারে এই পরিবর্তন হলে?

EPFO Minimum Wages act in India

বর্তমানে ন্যূনতম মজুরি কত?

বর্তমানে, EPFO এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কর্মীদের জন্য ন্যূনতম মজুরি সীমা ১৫,০০০ টাকা। তবে, ২০১৪ সালে সর্বশেষ এই সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছিল, তখন ৬,৫০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পর থেকে এই সীমাতে আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখন, এক দশক পর, শ্রম মন্ত্রণালয় এই সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে।

ন্যূনতম মজুরি কেন বাড়ছে?

কেন্দ্রীয় সরকার সামাজিক নিরাপত্তা নীতির আওতায় কর্মীদের ভবিষ্যতের তহবিল তথা প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPF) এবং পেনশন স্কিমে (EPS) অবদান বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিতে পারে। যেকোনো সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের নুন্যতম বেতন এর সীমা বাড়ানো হলে, অধিক সংখ্যক কর্মচারী এই সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমা বাড়বে।
এছাড়া, সরকারের একটি নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কর্মচারীদের সংখ্যা কমিয়ে ১০-১৫ জনের মধ্যে আনতে হবে, যার ফলে আরো ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রভিডেট ফান্ড এর সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হবে।

আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নিয়ম জারি করলো পশ্চিমবঙ্গ অর্থ দপ্তর

মজুরি নির্ধারণ কি?

যদি মজুরি সীমা ২১,০০০ টাকায় বাড়ানো হয়, তাহলে কর্মীদের বেতন থেকে EPF তহবিলের জন্য আরো টাকা কাটা হবে। এর পাশাপাশি কর্মী পেনশন স্কিম (EPS) তে অবদানও বৃদ্ধি পাবে। কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়কেই তাদের মূল বেতনের ১২ শতাংশ করে এই তহবিলে জমা দিতে হবে।
বর্তমানে, EPF তহবিলের ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে জমা হয় এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ EPF অ্যাকাউন্টে জমা হয়। মজুরি সীমা বাড়ানোর ফলে, এই অবদান বাড়বে এবং কর্মীদের ভবিষ্যতের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে।

নূন্যতম মজুরি আইন কি?

নতুন সীমার ফলে, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলোও প্রভিডেট ফান্ড সিস্টেমের আওতায় আসবে। এর ফলে, আরও বেশি সংখ্যক কর্মচারী সামাজিক নিরাপত্তা পাবে। যেহেতু EPF এর মেম্বার হলে কর্মী পেনশন স্কিমে অবদানও বৃদ্ধি পাবে, তাই দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। আর নতুন বছরে এই আইন চালু হলে সমস্ত কর্মীদের জন্য আরও সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অর্থ দপ্তরের নতুন বিজ্ঞপ্তি। কি বলা হয়েছে?

পশ্চিমবঙ্গের ন্যূনতম মজুরি

কেন্দ্রীয় সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা আরো বাড়াবে। ২১,০০০ টাকার মজুরি সীমা বাড়ানোর ফলে কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে আরও টাকা জমা হবে, যা তাদের ভবিষ্যতকে আরও সুরক্ষিত করবে। এই কারণে সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন দেশজুড়ে কর্মীরা। এবার প্রশ্ন হচ্ছে এই নিয়মে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে কিনা? সারা দেশে এই নিয়ম চালু হলে অর্থ কমিশনের আওতায় থাকে প্রত্যেক কর্মীদের Minimum Wages বা বেতন বাড়বে। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়োগকর্তাদের উপরই নির্ভর করছে।

Related Articles

Back to top button