পশ্চিমবঙ্গে 4 মাস বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতার টাকা বন্ধ? টাকা বন্ধ হলে এই কাজ করুন
Government of West Bengal Old Age Pension
পশ্চিমবঙ্গের বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা (Old Age Pension) প্রকল্পের টাকা নিয়ে (Government Scheme) রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) নয়া নির্দেশ। যারা নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন বা যাদের টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে সকলেই জেনে রাখুন।
আমরা সকলেই নিজেদের ও পরিবারের মানুষদের ভালো রাখার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছি। কিন্তু একটা বয়সের পর থেকে আমাদের পক্ষে এই পরিশ্রম করা সম্ভব হয় না। আর সরকারি চাকরি ছাড়া তো আর পেনশন পাওয়া সম্ভব হয়না আর এই সকল মানুষদের জন্যই এই দুই প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার।
Bardhoka Vata Bidhava Bhata Old Age Pension
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) রাজ্যের জনসাধারণের আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে একাধিক অভিনব প্রকল্পের সূচনা করেছেন। মহিলাদের জন্য বিশেষ যে প্রকল্পটি সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তা হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme) ছাড়াও বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Government of West Bengal
বর্তমানে বার্ধক্য ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০৭ জন ও বিধবা ভাতার প্রাপকের সংখ্যা রয়েছে ৮৭ হাজার ৪০৯ জন। রাজ্যের যে সমস্ত দুঃস্থ ও নিম্ন পরিবার রয়েছে, সেই সমস্ত পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিরা তেমন কোন আর্থিক উপার্জন করেন না, তাদের ওষুধ পত্র, খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। এই ১০০০ টাকার মাধ্যমে একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত বয়স্ক ব্যক্তি তার মাসিক প্রয়োজন মেটাতে পারেন।
টাকা না ঢোকার কারন কি?
এছাড়াও বিধবা মহিলাদের জন্য মাসিক হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এমন অনেক বিধবা মহিলা রয়েছেন, যাদের স্বামী গত হওয়ার পরেই আর্থিক অবস্থা ততটা সচ্ছল নয়, তাদের কাছে এই মাসিক হাজার টাকা অনেকটাই আর্থিক সুরাহা এনে দেয়। তবে জানা যাচ্ছে, আগস্ট মাসের পর থেকে অনুদান ঢুকছে না গ্রাহকদের। আগস্ট মাসের অনুদান পেয়েছেন তারা অক্টোবর মাসে এসে। এত গুলো মাসের অনুদান আটকে থাকার জন্য উপভোক্তারা সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এই দুই প্রকল্পের গ্রাহকরা তাদের জেলা প্রশাসনের কাছে গিয়ে এই অভিযোগ জানালেও কোন সুরাহা হয়নি কারণ টাকা বিতরণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন নয়, রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। অন্য দিকে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত গ্রাহকরা প্রথম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন একমাত্র তাদেরই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে কোন আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
জেলা প্রশাসন থেকে এটাই আশ্বাস দেয়া হয়েছে, যে কয়েক মাসের টাকা বাকি রয়েছে, সমস্ত তাকেই গ্রাহকরা পেয়ে যাবেন, তাই এই ব্যাপারে কোন রকম চিন্তা না করতে। রাজ্য সরকারের কোন অভ্যন্তরীণ কারণ বশত বা টেকনিক্যাল পদ্ধতি কিংবা অন্য কোন কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে, কিন্তু সমস্ত মাসের টাকা ঢুকে যাবে। তবে সমস্যার সমাধান কবে হবে, তা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের তরফে সুনির্দিষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি। সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে কি না, সেই ব্যাপারে সংশয় দেখা দিয়েছে উপভোক্তাদের মধ্যে।
এই নম্বরে ফোন করলেই বাংলা আবাস যোজনার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা একাউন্টে ঢুকবে
যে সমস্ত গ্রাহকদের ডকুমেন্ট ঠিকঠাক রয়েছে এবং ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে কোন রকম প্রবলেম নেই, সেই সমস্ত গ্রাহকদের টাকা নির্দিষ্ট সময় পরে ঢুকে যাবে, তাই এই বিষয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে যে সমস্ত গ্রাহকদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়নি বা ব্যাংকে কেওয়াইসি (Bank KYC) জমা দেওয়া হয়নি, তাদের যদি টাকা না ঢুকে থাকে সেক্ষেত্রে এই দুটি কাজ সম্পন্ন করা আগে দরকার।
জেলা প্রশাসনের কাছে আপনার লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দিয়ে আসুন এছাড়া ব্যাংকে গিয়ে কেওয়াইসি জমা করুন। জানুয়ারি মাসের মধ্যে জানুয়ারি মাসের প্রাপ্ত অনুদান এবং বকেয়া অনুদান পেয়ে যাবেন বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা উপভোক্তারা, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এই নিয়ে আরও তথ্য জানার জন্য BDO বা SDO অফিসে যেতে পারেন। আর আপনাদের সকলকে বাংলা একাডেমির তরফে নতুন বছর ২০২৫-র শুভ কামনার সঙ্গে এই আলোচনা শেষ করলাম, সঙ্গে থাকুন আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।